গাংনীতে ইউপি সদস্য’র বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুরের গাংনীতে ইউপি সদস্য’র বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাইপুর ইউপির ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য বকুল হোসেনের বিচারের দাবিতে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় ঝোড়পাড়া গ্রামে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি। মানববন্ধনে ঝোড়পাড়া গ্রাম আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আব্দাল হক,৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ময়নাল হক,৩ নং ওয়ার্ড যুবরীগ সভাপতি কুতুব আলী,ইউপি ছাত্রলীগের সহ সভাপতি কালাম হোসেন,ইউপি তাঁতীলীগের সভাপতি তারিক হাসান সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধনে যুবলীগ কর্মী সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ তার মুক্তি দাবি করা হয়।
ঝোড়াপাড়া গ্রাম আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আব্দাল হক বলেন,তার মা আকলিমা খাতুনের কাছ থেকে বয়স্ক ভাতার উত্তোলনের পর ১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ইউপি সদস্য বকুল হোসেন। এছাড়া নানা অনিয়ম,বয়স্ক,বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা প্রতিবাদ করায় ইউপি সদস্য বকুলের ইন্দনে যুবলীগ কর্মী সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। অবিলম্বে যুবলীগ কর্মী সাদ্দাম হোসেনের মামলা প্রত্যাহার পূর্বক তার মুক্তি ও অভিযুক্ত বকুল মেম্বরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে।
৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ময়নাল হক বলেন,বকুল হোসেন ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে লুটপাট ও আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া সহ নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বয়স্ক,বিধবা ও প্রতিবন্ধীর টাকা লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে জেলা,উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ সহ প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি। তিনি বলেন ইউপি সদস্য বকুল হোসেনের ষড়যন্ত্রের কারনে মিথ্যা মামলায় যুবলীগ কর্মী সাদ্দাম হোসেন জেল হাজতে রয়েছে অবিলম্বে তার মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন।
প্রতিবন্ধী নজরুল ইসলাম ও জামাল হোসেন জানান, ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের পরপরই ইউপি সদস্য বকুল হোসেন ও তার সহযোগি সমর নামের এক ব্যক্তি ১ হাজার করে মোট দুজার টাকা নিয়েছে। টাকা দিতে না চাইলে তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার হুমকি দেন একারনে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি। তদন্ত করে দেখেন অন্তত শতাধিক বয়স্ক,বিধবা ও প্রতিবন্ধীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যখনই টাকা উত্তোলন করা হয় তখনই ইউপি সদস্য বকুল হোসেনকে টাকা দিতে হয়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য বকুল হোসেন জানান,চেয়ারম্যান নিজে হাতে বই দেয়। টাকা পয়সা লেনদেন হয়না। মাইকের মাধ্যমে টাকা না দিতে ঘোষনা দেয়া হয়। সাদ্দাম হোসেন মামলার সময় তিনি ঢাকায় ছিলেন একারনে কিছু জানিনা।
রাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন সেপু বলেন,বিভিন্ন ভাতার কার্ড প্রতিটা ওয়ার্ডের সমতার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়ার পাশাপাশি কোন ইউপি সদস্যকে টাকা না দিতে ভুক্তভুগীদের অনুরোধ করা হয়। গ্রামের একটি মামলাকে কেন্দ্র করে এসব ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে ইউপি সদস্য’র বকুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!