গাংনী নিউজ টােয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনীতে বেসরকারী সংস্থা আশা’র অফিস সহকারী হৃদয় হোসেন (২৪) নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে নিজ কার্যালয় থেকে নিখোঁজ হন তিনি। রবিবার সকালে কার্যালয়ের সিড়ি ও নীচে রক্ত পড়ে থাকতে দেখে হৃদয়কে হত্যার পর লাশ গুম করা হয়েছে এমন সন্দেহে তার স্বজন ও এলাকাবাসি আশা অফিসের সামনে বিক্ষোভ করে। এসময় ম্যানেজারকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। নিখোঁজ হৃদয় হোসেন উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান গ্রামের মিন্টু হোসেনের ছেলে।
হৃদয়ের মা আক্তার বানু জানান,আশা অফিসের সামিয়া খাতুন নামের এক মহিলা কর্মীর সাথে ম্যানেজার আমিনুল ইসলামের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড হৃদয় দেখেছে। এ ঘটনার পর হৃদয়কে ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে মোবাইল ফোনে হৃদয়কে আশা অফিসে ডেকে নেওয়া হয়। রাতে হৃদয় বাড়ি না ফেরায় সকালে অফিসে গিয়ে হৃদয়কে পাওয়া যায়নি। এরপর সিড়ি ও নীচে রক্তের দাগ দেখতে পাওয়া যায়। ধারনা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে।
হৃদয়ের স্ত্রী জানান, তার স্বামী হৃদয়কে যে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে তার সকল প্রমাণ আছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
খবর পেয়ে মেহেরপুরের পুলিশ সুপার রাফিউল আলম ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। এবিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আশা এনজিওর বাওট শাখা ম্যানেজার কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার বাসিন্দা আমিনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে মারধর করার কারনে সে শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য একারনে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।