গাংনীতে  ঘন কুয়াশা লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন 

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম:

মেহেরপুরের গাংনী ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত রাস্তাঘাট,স্কুল-কলেজ ও মাঠ-ঘাট।রাস্তায় যে সকল যানবাহন চলছে তারা নিজস্ব গাড়ির লাইট জ্বালিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে।ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে অনেকেই।আর এর সাথে হালকা বাতাস ও শীত পড়ছে।ঘন কুয়াশা ভেদ করে কাজে বের হচ্ছে মানুষ।রাস্তায় দেখা যাচ্ছে,অটো,ভ্যান,মোটরসাইকেল,ট্রাক সহ ভিন্ন যানবাহন।তবে একপ্রকার পেটের তাগিতেই মানুষ ছুটছে দূর দূরান্তে।

স্থানীয়রা জানান,গতকাল সারাদিন চলে গেলও সূর্যের দেখা মিলেছিল না আর কুয়াশা ছিল কিছুটা কম।আজ  মঙ্গলবার ঘন কুয়াশা পথঘাট তেমন দেখা যাচ্ছে না।

ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকেছিল চারদিক।রাস্তাগুলো যেন দেখা যাচ্ছিল না তারপরেও যানবাহন ছুটে চলছে।

মিলে কাজ করতে যাওয়া রহিদুল ইসলাম বলেন,প্রচন্ড কুয়াশা ভেতরেই পেটের তাগিদে কাজ করতে যেতে হচ্ছে।রাস্তায় চলতে গিয়ে ভয় লাগছে কখন জানি দুর্ঘটনা ঘটে।কারণ সামনে কিছুই তেমন দেখা যাচ্ছে না।এর সাথে পাকাপোক্তভাবে পড়তে শুরু করেছে  শীত।যে সকল যানবাহনগুলো লাইট জ্বালিয়ে আসছে সেগুলো নিবু নিবু দেখা যাচ্ছে।

রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যাওয়া সুভ আহমেদ বলেন, আজ কুয়াশা ও শীত খুব বেশি পড়ছে।রাজমিস্ত্রির কাজে বেশি পানি নাড়তে হয়।এই ঠান্ডায় পানি নাড়া অত্যন্ত কষ্টকর কাজ।আর কাজ না করলে তো মুখে ভাত উঠবে না।রাস্তায় যে সকল যানবাহনগুলো চলাচল করছে  সেগুলো লাইট জ্বালিয়ে চলছে।জায়গায় জায়গায় কাছের যানবাহন গুলোও দেখা যাচ্ছে না ঘন কুয়াশার কারণে।

চলতি পথের অটোচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ভোরবেলা থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা রাস্তাগুলো।তারপরেও পেটের তাগিদে বের হতে হয়। অনেক আস্তে আস্তে গাড়ি চালায় তারপরও ভয় লাগে।সবচেয়ে  বেশি ভয় হয় দুর্ঘটনা ঘটার।রাস্তায় যানবাহনগুলো লাইট জ্বালিয়ে চলে।তারপরও কুয়াশা ভেদ করে দেখা কষ্টকর হযচ্ছে।এর সাথে হালকা বাতাস ও শীত পড়ছে খুব।

আলগামন চালক মো: শাহারুল ইসলাম বলেন,কুয়াশার কারণে খুব আস্তে আস্তে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।তাছাড়া দুর্ঘটনার ভয় থাকে।আমাদেরও অনেক সচেতনতার সাথে গাড়ি চালাতে হয়।যারা যানবাহনগুলো চালাচ্ছে তাদের সচেতনতার সাথে চালানো উচিত।

পাখি ভ্যান চালক মো: নাজমুল হোসেন  বলেন, আমাদের ভ্যানের সামনে ছোট লাইট জ্বলে তারপরও   পথ পরিষ্কার দেখা যায় না।চরম ঝুঁকি নিয়ে  রাস্তা চলাচল করতে হয়।ঘন  কুয়াশার কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো: রাকিবুল হাসান জানান, আজ সকাল ৯ টার সময় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫.০°C এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭%।এই ঘন কুয়াশা বৃহস্পতিবার থেকে অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন জানান, এখন যে কুয়াশা পড়ছে সেই কুয়াশায় কোন ফসলের ক্ষতি হবে না।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!