গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনীতে জামাই শশুরের পরস্পর অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলার রহস্য আজও উৎঘটন করা যায়নী। মামলা তদন্তে রাজনৈতিক প্রভাবকে দায়ি করছে পুলিশ। তবে দ্রত সমরেয়র মধ্যে তদন্ত শেষ করার আশ্বাস দিয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। জানা গেছে, সাহেবনগর গ্রামের তুহিন ও তার দুলাভাই লালন হোসেনকে অপহরণের অভিযাগে মটমুড়া ইউপি ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সোহেল আহমেদ সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তুহিনের পিতা হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে গাংনী থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৪ তাং ১৬/০৬/১৯ ইং। ধারা ১৪৩,৩৪১,৩০৭,৩২৬,৩৬৪,৩৮৫। এদিকে মটমুড়া ইউপি ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সোহেল আহমেদ বাদী হয়ে তুহিন ও তার দুলা ভাই লালনের নামে চুরি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা গাংনী থানায় মামলাটি দায়ের করে। মামলা নং ১২ তাং ১৫-০৬-১৯ ইং। ধারা ৩৮৫/৩৭৯। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই ফরহাদ হোসেন দুটি মামলার শশুর জামাই হওয়া ও রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে এ কারণে তদন্তে দেরি হচ্ছে। তবে তদন্তের কাজ চলছে দ্রত সময়ের মধ্যে অভিযোগ পত্র দেয়া হবে। তুহিন হোসেন সোহেলের বড় ভাইয়ের জামাই। : উল্লেখ্য : গত ১২ জুন বুধবার রাতে তুহিন ও তার দুলাভাই লালন হোসেন কামারখালী যাওয়ার পথে ছাতিয়ান-কামারখালীর একটি মাঠে কয়েকজন তুহিনের পথরোধ করে। এসময় মটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নিয়ে মারধর করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। পরে তুহিনের কাছে থাকা মোবাইল থেকে অপহরণকারীরা তুহিনের চাচা শশুর সোহেলকে কল দিয়ে ২ লক্ষটাকা চাঁদাদাবি করে। চাঁদার টাকা না পেলে হত্যারও হুমকী দেয়া হয়। এরপর চলে রাতভর চাঁদা লেনদেনের নাটকীয়তা। ঐ রাতেই জোড়পুকুর বাজার থেকে তুহিনকে আহতবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে মটরসাইকেল চুরি ও চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে সাহেবনগর গ্রামের তুহিন হোসেন ও তার দুলা ভাই লালনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সোহেল আহমেদ।