গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ভাবানিপুর গ্রামে একটি টিউবয়েলে হাতলে চাপ বা কোন ইলেকট্রিক সংযোগ ছাড়াই নিরবিচ্ছিন্ন পানি বের হয়ে চলেছে। বিষয়টি অলৌকিক ভেবে টিউবয়েল থেকে নির্গত পানিতে মানুষের রোগ মুক্তি হচ্ছে বলে ওই এলাকায় গুজুব ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে করোনা মহামারী সহ নানা রকম জটিল রোগ মুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়ায় মানুষ ওই টিউবয়েলের পানি নিতে দলে দলে ছুটে যাচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে এক পানিতেই সকল রোগের মুক্তি মিলবে এর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। এদিকে ঘটনাস্থলে বসেছে মেলার দোকান। এখানে খেলাধুলা সহ মেয়ের প্রসাধনী ও চুড়ি দুল বিক্রয় করছে ফেরিওয়ালা।
টিউবয়েলের পানি পানে রোগ মুক্তির গুজুব ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ মানুষের মুখে মুখে। টিউবয়েলটির পাশে গিয়ে মানুষ পানি পান করা সহ ভরে নিয়ে যাচ্ছে বোতলে করে। যারা যেতে পারছেন না তারা নিকট আত্ত¡ীয় সহ কাছের মানুষের মাধ্যমে পানি বোতলে করে বাড়িয়ে আনিয়ে নিচ্ছেন। তবে ওই পানি পান করে কারো রোগ মুক্তি হয়েছে এমন কোন খবর পাওয়া যায়নি। তার পরেও নারী-পুরুষ, শিশু সহ বিভিন্ন বয়সী ও শ্রেণি পেশার মানুষ পানি নিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষ নানা রকম মন্তব্য করেছেন। এলাকাবাসির দাবি,অলৌকিকভাবে টিউবয়েলে পানি উঠায় রোগ মুক্তি হবে বলে আমরা পানি নিয়ে পান করছি। পানির উছিলায় করোনা মহামারী সহ অনান্য রোগ থেকে আল্লাহ হেফাজত করবে সেই প্রত্যাশায় পানি নিয়ে যাচ্ছে। টিউবয়েলের মালিক আনারুল ফকির জানান, অটো পানি বের হওয়ার বিষয়টি ছেলেরা মোবাইলে ভিডিও করে ফেসবুকে দেওয়ায় এখন লোকজন পানি নিতে আসছে। একটি ছেলে এই পানি খেয়ে নাকি সুস্থ্য হয়েছে। তার মাধ্যমে রোগ মুক্তির বিষয়টিও ছড়িয়ে পড়েছে। এখন মানুষ দলে দলে পানি নিতে আসছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এম রিয়াজুল আলম বলেন,টিউবওয়েলের পানি স্বাস্থ্য সম্মত কি না পরীক্ষার পর বলা যাবে। এ এ পানিতে রোন নিরাময় হবে এ ধরনের কোন বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই। রবং এ পানিতে আর্সেনিক থাকতে পারে। পানি পান করার পর ডায়রিয়া ও রোটা ভাইরাস ইনফেকশন হয় তাহলে জনগনের জন্য দূর্ভোগ বয়ে আনবে।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু সালেহ মো: মাহফুজুর রহমান,অতিবৃষ্টির কারনে পানির লেয়ার উপরে উঠে যায়। একারনে কখনও কখনও অনগত পানি বের হয়। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। আবার গ্যাস থাকার কারনে চাপ বাড়লে পানি বের হতে পারে। এটা উদ্ধর্ত্বন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।