গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনীতে উপ সহকারী ভুমি কর্মকর্তা শাপলা খাতুনের সহায়তায় রেকর্ডের ফটোকপি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল ১১ টায় কয়েকজন ভুক্তভুগীর কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে রেকর্ডের মুল কপি দোকানে নিয়ে ফটোকপি করে বিক্রি করছে। এসব মূল্যেবান রেকর্ড পত্র লকারে থাকার নিয়ম থাকলেও অর্থের লোভে সেগুলো বাজারে নিয়ে ফটোকপি করে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব মূল্যেবান রেকর্ড পত্র লকার থেকে বাজারে ফটোকপির জন্য নিলে দ্রত নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। রেকর্ড নষ্ট হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে জমির মালিকরা। ইজাজ আহমেদ নামের ঐ ভুক্তভুগী জানান,একটি রেকর্ডের ফটোকপি হাতে ধরিয়ে দিয়ে মটমুড়া ইউপি ভুমি অফিসের অফিস সহায়ক ইসরাইল হোসেন ১শত টাকা নেয়। এত টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে কোন উত্তর দেননী তিনি। এ বিষয়ে মটমুড়া ইউপি ভুমি অফিসের অফিস সহায়ক ইসরাইল হোসেন ১শত টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, উপ সহকারী ভুমি কর্মকর্তা শাপলা খাতুনের অধিনে তিনি চাকুরী করেন টাকা নেওয়া বা সকল কাজ কর্ম তার নির্দেশেই পালিত হয়। রেকর্ডের ফটোকাপি উপ সহকারী ভুমি কর্মকর্তা শাপলা খাতুনের নির্দেশেই দেয়া দেয়া হয়েছে। তার নির্দেশেই টাকা নেয়া হয়। আমি পিয়ন আমার রেকর্ড দেয়া বা অন্যকাজ করার ক্ষমতা নেই। যতক্ষত পর্যন্ত না আমাকে নির্দেশ করে ততক্ষন পর্যন্ত আমি কিছুই করতে পারিনি। উপ সহকারী ভুমি কর্মকর্তা শাপলা খাতুন বলেন,আমি ঘটনার সময় ছিলাম না। আমি কিছুই জানিনা। স্থানীয় ভুমি মালিকরা জানান,রেকর্ডের কপি,পচড়া সহ বিভিন্ন কাজে আসা মানুষদের জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করলেই হয়রানী করা হয়। মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনী বলেন,রেকর্ডের কপি এভাবে দেওয়ার নিয়ম নেই। সরকারী বিধি মোতাবেক আবেদন পূর্বক কপি সরবরাহ করতে হবে। তবে মটমুড়া ইউপি ভুমি কর্মকর্তা যদি রেকর্ডের ফটোকপি দিয়ে থাকে বা টাকা নিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য : সম্প্রতি মটমুড়া ইউপির মরা নদীতে সরকারী গাছ কর্তনে সহায়তার অভিযোগ উঠে মটমুড়া ইউপি ভুমি কর্মকর্তা শাপলা খাতুনের বিরুদ্ধে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেই গছ জব্দ করে প্রশাসন।