গাংনীতে দুজন ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টােয়িন্টেফার ডটকম :

মেহেরপুরের গাংনীতে দুজন ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী ও প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ উঠেছে করমদী দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবু জাফরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার দিনভর অভিভাবক ও বিক্ষুদ্ধ স্থানীয় জনতা প্রধান শিক্ষক আবু জাফরের বিচারের দাবিতে তাকে একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে গাংনী থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ২০১৫ সালের দিকে আরেক ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছিলো প্রধান শিক্ষক আবু জাফরের বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী জানায়, গত বৃহস্পতিবার ২রা মার্চ প্রধান শিক্ষক আবু জাফর একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে হিজাব তুলে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি অনুরোধ শোনেনি। এ ঘটনায় তার বিচার দাবি করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৯ম শ্রেনীর আরেক ছাত্রী জানায়, প্রধান শিক্ষক আবু জাফর তার মোবাইল নং চাই এবং চোঁখ টিপ মারে এছাড়া নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মুখ খোলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এ ঘটনা পরিবারকে জানালে ক্ষতি করার হুমকি দেন।
করমদী গ্রামের বাসিন্দা ও অভিভাবক ওমর আলী জানান, প্রধান শিক্ষক আবু জাফর এজন চিহিৃত লম্পট। শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় এলাকায় মিটিং ডাকা হলেও সে আসেনি। ইতোপূর্বে কেলেংকারীর ঘটনায় স্থানীয় সালিস হয়েছিলো তার বিরুদ্ধে। তিনি সহ অভিভাবক ও স্থানীয়রা অঅবু জাফরের বহিষ্কার গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।
করমদী মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম বলেন,তিনি সভাপতি থাকালিন (২০১৫ সালে) প্রধান শিক্ষক আবু জাফর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী করে। এ ঘটনায় বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ তাকে বহিস্কারের উদ্যোগ নিলে অপকর্ম না করার শর্তে মাফ করে দেয়া হয়।
করমদী গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক সেনা সদস্য আবু হানিফ বলেন, প্রধান শিক্ষক আবু জাফরের চরিত্র ভালোনা ইতোপূর্বে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী করেছিলো। সেসময় তাকে দৈহিক শাস্তি দেয়া হয়েছিলো। এরপর অপকর্ম করবে না মর্মে তাকে ক্ষমা করা হয়। তবুও তার স্বভাব পরির্বতন হয়নি।
করমদী মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রধান শিক্ষক আবু জাফর নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। এলাকার লোকজন থেকে শুরু করে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ তার অপকর্মের বিচার দাবি করেছেন।  প্রধান শিক্ষক আবু জাফর জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করছেন। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাদ্রাসার সভাপতি গাংনী ইউএনও রনী খাতুন জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!