গাংনীতে পুকুরে গ্রাস করছে হাজার একর জমি

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ( ফারুক আহমেদ ) :

মেহেরপুরের গাংনীর ধলা-মাইলমারী মাঠে বাধ দিয়ে মাছ চাষ করার কারনে কয়েক হাজার বিঘা জমি পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। পানি নিস্কাসনে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় জমিগুলো পতিত থাকায় উৎপাদনের পাশাপাশি খাদ্য খাটতি দেখা দেবে।
স্থানীয় কৃষকদের দাবি,ধলা-মাইলমারি মাঠ এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ফসলের মাঠ এ মাঠ থেকে উৎপাদিক খাদ্য সহ অন্যান্য ফসল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলাগুলোতেও সরবরাহ করে। গত কয়েক বছর আগে তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের জেহের মুন্সির ছেলে নুরু পোষ্ট মাষ্টার ব্রিজের মুখে পুকুর কেটে বাধ দিয়ে মাছ চাষ করার কারনে কয়েক হাজার বিঘা জমি পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। দ্রত সময়ের মধ্যে পানি নিস্কাসন করা না হলে জমিগুলো চাষাবাদ করা সম্ভব হবেনা।
কৃষকরা জানিয়েছেন ৩ বিঘা জমিতে অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর কেটে বাধ দিয়ে মাছচাষ করার কারনে পানি নিষ্কাশনের পথগুলি বন্ধ রয়েছে। একারনে তারা তাদের জমির ফসল ফলাতে পারবেন কি না তা নিয়ে চরম উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে,তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের জনৈক্য খোকন নামের এক ব্যক্তি পুকুরটি বন্দোবস্ত নিয়ে ব্রিজের মুখে বাধ দিয়ে মাছচাষ করছে। এ বিষয়ে কথা বলতে তার মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেনি।
ভুক্তভুগীদের দাবি দ্রত সময়ের মধ্যে পুকুরের একাংশ ও বাধ অপসারন করে পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা করা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের সহিংশতার ঘটনা ঘটতে পারে।  পুকুর মালিক নুরু পোষ্ট মাষ্টার বলেন,ব্রিজ থেকে তার পুকুর অনেক দুরে। ব্রিজের মুখে পুকুর খনন করার কোন বৈধতা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে তিনি বলেন এখন পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কে এম সাহাবুদ্দীন আহমেদ জানান,এ ধরনের অভিযোগ কেউ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গাংনী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান,সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন,এ বিষয়ে ভুক্তুভুগী কৃষকরা লিখিত অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!