গাংনী নিউজ টোয়েন্টফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে ভ্যান চালক সহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার রাত ১১ টার সময় উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের জালশুকা বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করে স্থানীয়রা। ধর্ষিতা জালশুকা গ্রামের কাতার প্রবাসী মহাবুলের স্ত্রী ও পার্শবতী আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামের ফরজ আলীর মেয়ে।
আটককৃতরা হলেন,চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের নানবার গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে আকরাম হোসেন,কাবিল হোসেনের ছেলে আহসান,মিজানুর রহমানের ছেলে জামাল হোসেন ও সাইফুল ইসলামের ছেলে ভ্যান চালক মিরাজুল ইসলাম। ধর্ষিতা প্রবাসীর স্ত্রী জানান,আকরাম হোসেন তার বান্ধবীর স্বামী সে রাত ৯ টার সময় মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বলে বাড়ির পার্শে দেখা করতে হবে তা না হলে বাড়িতে গিয়ে বসে থাকবো বলে হুমকি দেয়। কোন উপায় না পেয়ে রাত সাড়ে ১০ টায় বাড়ির পিছনে তার সাথে দেখা করতে গেলে আকরাম সহ আহসান ও জামাল গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষন করে। এসময় তার শশুর তাকে ঘরে না পেয়ে বাইরে খোঁজ করতে আসলে টিউবয়েরে পাশে দেখা হয়। তখন ঘটনা শশুরকে খুলে বলি। এরপর শশুর লোকজনকে জানালে ভ্যান যোগে তারা চলে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাদের ধরে নিয়ে একটি গোডাউনে আটকিয়ে রাখে।
আকরাম হোসেন জানান,আহসানের সাথে ঐ মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কের জেরে তার সাথে দেখা করতে এসেছিলো। যা করার ওরা দুজন করেছে। আমরা শুধু মাত্র সঙ্গী হিসেবে এসে একটি মাঠে বসা ছিলাম।
আহসান জানান,সম্প্রতি ঐ মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মেয়েটি ফোন করে রাতে তার বাড়ির পাশে দেখা করতে বলে সে মোতাবেক দেখা করি এবং দুজনের ইচ্ছাতেই সবকিছু ঘটে। কিন্তু আকরাম ও জামাল হোসেন দুজন মাঠে ও ভ্যান চালক মিরাজুল বাজারে বসে ছিলো তারা ঘটনাস্থলে ছিলনা। আহসান দাবি করেন, মেয়ের সাথে সম্পর্ক না থাকলে কিংবা না থাকলে পার্শবর্তী একটি উপজেলার বাসিন্দা হিসেবে অন্য একটি উপজেলায় রাতে আসা সম্ভব হয় না।
ধর্ষিতা মেয়েটির শশুর জালশুকা গ্রামের জামাল হোসেন জানান, আমার মাথায় সমস্যা। কি হয়েছে না হয়েছে মেয়েটাই ভালো যানে।
স্থানীয়রা জানান,ঘটনা জানতে পেরে রাতেই কসবা ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা এসেছিলো। মেয়েটি বর্তমানে তার শশুরবাড়িতে আছে। আটক ৪জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হবে। পরে তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান,ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই বাছাই পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।