গাংনীতে শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম:

মেহেরপুরের গাংনী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের হয়রানীর ও হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।


এ ঘটনায় সোমবার সকালে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি বিক্ষোভ র‍্যালী বের করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে আসেন।হেনস্থার ঘটনাটি ঘটে গতকাল সোমবার।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বেতন অফিসে দেয়ার নির্দেশ দেন বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল সেকশনের শিক্ষক আখতারুজ্জামান সহ কয়েকজন শিক্ষক।আর প্রধান শিক্ষক স্ব স্ব শ্রেণি শিক্ষককে প্রদানের নির্দেশ দেন। এনিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।গতকাল রোববার সকালে অ্যাসেম্বলির সময় কয়েকজন শিক্ষকের সাথে ভোকেশনাল সেকশানের শিক্ষক আখতারুজ্জামানের কথা কাটাকাটি হয়। এতে প্রতিবাদ করেন এক শিক্ষিকা। এসময় ওই শিক্ষিকাকে লাঞ্চিত করেন এবং শিক্ষিকার ওড়না কেড়ে নেয় ও জামা ছিড়ে দেন।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন,তিনি ম্যাডামের সাথে যে বাজে আচরণ করেছেন সে আচরণ যে আমাদের সাথে করবে না তার গ্যারান্টি কি।একজন শিক্ষক কখনো এধরনের খারাপ আচরণ করতে পারেন না।এছাড়া আখতারুজ্জামান স্যার ক্লাস বাদ দিয়ে রাজনৈতিক বিষয়ে আলাপ আলোচনা করে থাকেন।আমরা তদন্ত সাপেক্ষে এর সুষ্ঠু বিচার চায়।

গাংনী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা বেদনা খাতুন বলেন, আমার সাথে যে বাজে আচরণ করেছেন একজন শিক্ষক হিসেবে এটা মেনে নেওয়া অসম্ভব।আমার গায়ে থাকা পোশাক ছিড়ে দিয়েছে।শিক্ষকদের সামনে আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।

তিনি বলেন, আমরা জেনারেল শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নিয়েছি। অথচ আমাদের জেনারেল শিক্ষকদের  ভোকেশনালে ক্লাস নেয়ার জন্য বলেছে আর ভোকেশনালের শিক্ষকদের জেনারেলে ক্লাস নেয়ার বলেন আক্তারুজ্জামান স্যার।আমার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এই ঘৃণিত অপরাধের আমরা সুষ্ঠু বিচার চায়।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা জেনারেল এবং ভোকেশনাল শিক্ষকদের প্রয়োজন অনুসারে  ক্লাস নিওয়াতে পারি।এতে তো দোষের কিছু নেই।তাছাড়া শিক্ষকদের সাথে শিক্ষকদের দুকথা হতেই পারে এতে শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা আদৌ ঠিক হয়নি।তাছাড়া এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয়ও নেই।যে সকল অভিযোগ এনেছে তা আদৌ সঠিক নয়।

গাংনী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আশরাফুজ্জামান লালু বলেন, একজন পুরুষ শিক্ষক একজন নারী শিক্ষিকাকে অপমান অপদস্থ করেছে এবং মারধর করেছে। আমি বিষয়টি শুনেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানায়।ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেব।

গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক  শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক বলেন, ঘটনাটি গতকাল রোববার ঘটেছে।আর বিষয়টি আমরা আজ জানতে পেরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ঘটনাটি গতকাল ঘটেছিল। আর বিষয়টি নিয়ে  শিক্ষার্থীরা আজ সকালে দলবেঁধে এসেছিল।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!