গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনীতে স্বামী পরিত্যাক্তা এক মহিলার সাথে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে জনতার ধাওয়ায় পালিয়ে গেছে সূর্যের হাসি চিহৃত ক্লিনিকের নৈশ প্রহরী হাফিজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার মধ্যে রাতে বাঁশবাড়িয়া পলাশীপাড়া সূর্যের হাসি চিহৃত ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। হাফিজুল ইসলাম বাঁশবাড়িয়া পলাশীপাড়া (চরুপাড়ার) মুলুক হোসেনের ছেলে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান,সূর্যের হাসি চিহৃত ক্লিনিকের নৈশ প্রহরী হাফিজুল ইসলাম ক্লিনিকের মধ্যে এক মহিলার সাথে অনৈতিক কাজ করছে এমন সংবাদ পেয়ে স্থানীয়রা বাইরে গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে স্বামী পরিত্যাক্ত ঐ মহিলাকে পাওয়া গেলেও হাফিজুল ইসলাম পালিয়ে যায়। পরে ঐ মহিলাকে তার পরিবারের সদস্যদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
গাংনী থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান (সিনিয়র) জানান,হাফিজুল ক্লিনিকে চাকুরীর অন্তরালে বেশ কিছুদিন যাবৎ অনৈতিক কাজকর্ম চালিয়ে আসছিলো বলে জানায় স্থানীয় লোকজন। ঘটনার রাতে বাঁশবাড়িয়া পশ্চিমপাড়ার স্বামী পরিত্যাক্তা নারীর সাথে ফুর্তি করার সময় দুজনকে তালাবদ্ধ রাখা হলেও কৌশলে প্রাচীর কিংবা দুতলার উপর থেকে লাফিয়ে পালিয়ে হাফিজুল ইসলাম। পরে তালা খুলে এ মহিলাকে পাওয়া যায় পরে পুলিশের কাছে সে সব ঘটনার বিবরন দেয় সে।
স্থানীয় আবুল হোসেন ও সাহাবুল ইসলাম জানান, সূর্যের হাসি চিহৃত ক্লিনিকের নৈশ প্রহরী হাফিজুল ইসলাম ক্লিনিকের সামনে একটি দোকানের ব্যবসা রয়েছে। রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন সময়ে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে হাফিজুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। এছাড়া রুগী ও তার স্বজদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচনের কারনে তাকে বেশ কয়েকবার মৌখিক ভাবে সর্তক করেছিলো কর্তুপক্ষ। স্থানীয়রা হাফিজুল ইসলামের বিচার দাবি করেছেন।
সূর্যের হাসি চিহৃত ক্লিনিকের ম্যানেজার আব্দুল হান্নান জানান,ঘটনার রাতে তিনি কুষ্টিয়াতে ছিলেন। অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনা ঘটার পর গাংনী থানা পুলিশ ও পলাশীপাড়া সমাজকল্যান সমিতির নির্বাহী পরিচালক মোশাররফ হোসেন বিষয়টি তাকে অবগত করেন। তিনি আরো বলেন পুলিশকে তাৎক্ষনাক বলেছি হাফিজুল অন্যায় করলে তার সাজা হবে এতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। হাফিজুলের দায় সূর্যের হাসি চিহৃত ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নেবেনা।
পলাশীপাড়া সমাজ কল্যান সমিতির নির্বাহী পরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, তিনি বাইরে রয়েছেন পরে এ বিষয়ে কথা বলবেন।
এদিকে হাফিজুল ইসলামের অনৈতিক কর্মকান্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্য’র সৃষ্টি হয়। শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা।
এ বিষয়ে কথা বলতে হাফিজুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে লাইন কেটে মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখেন। এ বিষয়ে জানতে স্বামী পরিত্যাক্তা ঐ মহিলার বাড়ি বাঁশবাড়িয়া পশ্চিম পাড়ায় গেলে তার মা জানান সে বর্তমানে ধলা গ্রামে অবস্থান করছে। এদিকে হাফিজুল ইসলাম ঐ মহিলাকে অর্থের বিনিময়ে নাকি প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুলিশের প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান,স্বামী পরিত্যাক্ত ঐ মহিলা যদি কোন অভিযোগ দেয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।