গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনীতে ১ম স্ত্রীকে স্বীকৃতির না দিয়ে গোপনে আবারো বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে বিজিবি সদস্য লিটনের বিরুদ্ধে। এসব ঘটনার বিচার চেয়ে গাংনী থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন নাসিমা খাতুন। এদিকে স্বীকৃতি পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের নাসিমা খাতুন। লিটন আলী কাজিপুর ইউনিয়নের পীরতলা গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে। সে বর্তমানে রংপুর বিজিবিতে কর্মরত রয়েছে। নাছিমা খাতুন জানান,প্রায় ৬ বছর পূর্বে বিজিবি সদস্য লিটন আলীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। এরপর গত ১৩.০৫.২০১৫ ইং তারিখে ঢাকার একটি কাজি অফিসে বিয়ে করি। যার কাবিন নামা ও বিয়ের ছবি সহ অসংখ্য প্রমানাদি রয়েছে। বিয়ে করার পর থেকে ঢাকার সাভার এলাকায় চাকুরীর সুবাদে সেখানে বাসাভাড়া করে বসবাস করে আসছি। তৎকালিন সময়ে স্বামী লিটন আলী বান্দরবন জেলায় কর্মরত ছিলেন। সে ছুটি পেলেই আমার কাছে আসতো এবং একত্রে বসবাস করতাম। কিছুদিন পর গ্রামে চলে যাবে বলে সংসারিক প্রয়োজনে অন্তত ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল কিনে বিভিন্ন সময়ে পীরতলায় পাঠিয়েছি। স্বামী লিটন আলীর অনুরোধেই এত গুলো বছর বিয়ের কথা গোপন রাখা হয়। এছাড়া গত ২ মাস পূর্বে স্বামী লিটনের চাপে পড়ে ৩ মাসের একটি বাচ্চা নষ্টও করেছেন তিনি। তিনি আরো জানান, কিছুদিন আগে লিটন বাড়িতে এসে বজ্রপুর গ্রামে তিনি বিয়ে করেন। তিনি আরো জানান,বিয়ের ও স্বামীর স্বীকৃতির পেতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লিটনের বাড়িতে গেলে ঘরে প্রবেশ করতে দেয়নি তার পরিবার। দীর্ঘ সময় বসে থাকার পর পীরতলা পুলিশ ক্যাম্পের সামনে অবস্থান নিলে পরে পুলিশ সদস্যরা আমার এক নিকট আতœীয়ের বাড়িতে রেখে যায়। পীরতলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই বাবুল মিয়া জানান.ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,মেয়েটি ক্যাম্পে এসেছিলো। আমরা তাকে তার স্থানীয় এক আন্তীয়র কাছে পৌছে দিয়েছি। গাংনী থানার এস আই স্বপন কুমার নাছিমা খাতুন একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। বিজিবি সদস্য লিটন আলী মোবাইল ফোনে জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছইু জানেন না। সব ঘটনা মিথ্যা। সত্য কোনটা জানতে চাইলে গড়িমশি শুরু করেন।