গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম উর্মিকে (২৩) নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় নিশাত তাসনিম উর্মির শশুর শফিউল ইসলাম হাসেম ও স্বামী আশরাফুজ্জামান প্রিন্সকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে নিশাত তাসনিম উর্মির পিতা গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে নিশাত তাসনিম উর্মিকে হত্যার বিচার দাবীতে মানববন্ধন করে তার সহপাঠি ও শিক্ষকরা। নিশাত তাসনিম উর্মি চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে ও আশরাফুজ্জামান প্রিন্স তেরাইল গ্রামের শফিউল ইসলাম হাসেমের ছেলে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম উর্মিকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় তার বাবা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলায় নিশাত তাসনিম উর্মির স্বামী শশুর ও শাশুড়ীকে আসামী করা হয়েছে। মামলা নং ০৭. তাং ০৯.০৯.২২ ইং। ইতোমধ্যে নিশাত তাসনিম উর্মির স্বামী শশুরকে গ্রেফতার করা হলেও পলাতক রয়েছে তার শাশুড়ী। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নিশাত তাসনিম উর্মির বাবা গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকে নিশাত তাসনিম উর্মিকে নির্যাতন করতো তার স্বামী। বৃহস্পতিবার রাতে নিশাত তাসনিম উর্মিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গ্রীলের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে তাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়া হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে উর্মির শরীরে বিভিন্ন স্থনে আঘাতের চিহৃ দেখতে পাওয়া যায়। তার মেয়েকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বিচার প্রার্থনা করেন।
নিশাত তাসনিম উর্মির ঘনিষ্ট সূত্র জানায়,৪ বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্কের কারনে দুজনের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এর মধ্যে তাদের সংসারে ১ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
গাংনী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ইমদাদুল হক বলেন,নিশাত তাসনিম উর্মিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছিলো। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় গাংনী বাজার বাসস্ট্যান্ড চত্বরে ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্ট্যাডিজ বিভাগের পরিচালক মিঠুন মুস্তাফিজুরের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ফোকলোর স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষক ড. এরশাদুল হক, উর্মির সহপাঠি তানভীর হাসান, এসএম সুইট, শামীম রেজা, রাইহানা নিগার রিনি সহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শাহিন মিয়া বলেন, নিশাত তাসনিম উর্মির ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের পর চাঁদপুর গ্রামের করবস্থানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।