গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনীর আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ৪তলা ভবন নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে ভবনের বেইজ ঢালাই ও সর্ট পিলার ঢালাই ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মেহেরপুর জেলা সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী সুব্রত কুমার পালের নির্দেশে স্থানীয়দের সহায়তায় ভবনের বেইজ ঢালাই ও সর্ট পিলার ঢালাই ভেঙ্গে দেয়া হয়। মেহেরপুর জেলা সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী সুব্রত কুমার পাল বলেন,২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ৪তলা ভবন নির্মান করা হবে। মাইক্রো সায়ানামিক্স কুষ্টিয়া নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়। কার্যাদেশ পাওয়ার পর পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় কর্মকর্তা সহ সকলেই যখন ছুটিতে ছিলো ঠিক তখনই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ভবনের বেইজ ঢালাই ও সর্ট পিলার ঢালাই করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সেগুলো ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ভবন নির্মানে স্থানীয় অদক্ষ শ্রমিক কাজ করেছিলো। কোন ভাইে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করানো বরদাস করা হবেনা। ঠিকাদার তনু বলেন,প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ স্বপন আমার ম্যানেজারের সরনের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। বিল্ডিং ঢালাইয়ের কাজ করা হয়েছে সিডিউল-নকশা অনুযায়ী ভবনের রড, সিমেন্ট, বালু, ইট -খোয়া আলামত সংগ্রহ করে ল্যাব টেষ্ট করার পর নিম্নমানের উপকরণ প্রমাণিত হলে আমরা কাজ করবো না। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হান্নান, আশরাফুল ইসলাম,মন্টু, জালালউদ্দীন মেম্বর,ফারুক হোসেনের সাথে কথা বলে জানাগেছে,কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুললে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে গ্রামের বৃহৎ স্বার্থে গ্রামবাসী নিম্মমানের কাজে করতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন। আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ স্বপন বলেন, নিম্নমানের কাজের বিষয়টি আড়াল করতেই মিথ্যা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল জানান, স্কুল বিল্ডিংটি প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিডিউল অনুযায়ী নির্মান করানো হবে।এখানে কোনরকম অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।