গাংনীর কীটনাশক মুক্ত বাঁধাকপি যাচ্ছে বিদেশে

কর্তৃক farukgangni

ফারুক আহমেদ :

মেহেরপুরের গাংনীতে উৎপাদিত কীটনাশক মুক্ত বাঁধাকপি এখন রপ্তানি হচ্ছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও তাইওয়ানে। রপ্তানি পণ্যের তালিকায় এই সবজি যুক্ত হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নতুন সম্ভাবনাময় খাতও তৈরি হয়েছে। অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় বিদেশে রপ্তানি যোগ্য বাধাকপি চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। কৃষি বিভাগ চাষীদের সার্বিক সহযোগিতা করায় বাধাকপির উৎপাদন বৃদ্ধি গুনগতমান বজায় রাখার পাশাপাশি খরচও কমছে। কৃষি বিভাগের হিসেবে মতে দেশের গন্ডি পেরিয়ে চলতি বছরে গাংনী উপজেলা থেকে বিষ মুক্ত ৫শ’ মে.টন বাধাকপি সিঙ্গাপুর,মালয়েশিয়া ও তাইওয়ানে রপ্তানি হচ্ছে। বাঁধাকপি বিদেশে রপ্তানি হওয়ায় কৃষকরা ভাল দাম পাচ্ছেন এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। বিদেশে রপ্তানী কারক প্রতিষ্ঠান এগ্রো ফ্রেশ কোম্পানির মাধ্যমে এসব বাধাকপি রপ্তানি হচ্ছে। কৃষকের মাঠ থেকেই বাঁধাকপি কিনে নিচ্ছেন রপ্তানিকারন প্রতিষ্ঠান। প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে বাঁধাকপি দ্রতই একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত হিসাবে দাঁড়াতে পারে বলে আসা কৃষকদের। আগামী বছরে আরো বেশি কৃষকগণকে এ সুবিধার আওতায় আনতে কৃষি বিভাগকে আরো বেশি সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, মৌসুমের এ সময়ে তেমন দাম থাকে না। তখন মাঠেই গরু দিয়ে বাঁধাকপি খাইয়ে দিতো চাষীরা কিন্তু এ বছর বাঁধাকপি বিদেশে রপ্তানি হওয়ার কারণে লাভের মুখ দেখছে তারা। রপ্তানি যোগ্য পাতাকপি প্রতিবিঘা জমিতে ২০-২২ হাজার টাকা খচর হলেও বিক্রি হয় অন্তত ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। রপ্তানির জন্য বাঁধাকপি মাঠ থেকে সংগ্রহ করে শ্রমিকেরা তা কেটে পরিষ্কার করে সাদা কাগজে মুড়িয়ে প্যাকেজিং করার কাজ করছেন।
চাষীরা জানান,প্রতিবিঘা জমিতে ২০/২২ হাজার টাকা খরচ হলেও ৫০ থেকে ৬০ টাকায় টাকায় বিক্রি করেছি। বর্হিবিশ্বে স্থায়ী বাজার তৈরি করা হলে এ অঞ্চলের কৃষকের ভাগ্য খুলে যাবে। কৃষকরা আরো জানান, তাদের উৎপাদিক বাধাকপি বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে বিষয়টা জানতে পেরে অনেক কৃষক এসে খোঁজ খবর নিচ্ছে। তারও আগামীতে কিটনাশক মুক্ত বাধাকপি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সবজি রফতানি কারন প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি এগ্রোফ্রেসের প্রতিনিধি জানান,গাংনী উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় কৃষকদের মাঠ থেকে বাধাকপি ক্রয় করে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। কোম্পানীর পাশাপাশি কৃষকরাও লাভবান হচ্ছে। এছাড়া এ অঞ্চলের বাধাকপির মান ভালো হওয়ায় গত বার ৫ মে: টন রপ্তানি করলেও চলতি মৌসুমে ১১ মে:টন সরবরাহের চাহিদা পেয়েছি। ইতোমধ্যে ৫শ’মে:টন রপ্তানি করা হয়েছে।
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কে এম সাহাবুদ্দীন আহমেদ জানান, ইতোমধ্যে ৫শ মে:টন রপ্তানি করা হয়েছে। এছাড়া আগামীতে আরো বেশি পরিবার বাধা কপি সহ সবজি রপ্তানি করে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষক ও রপ্তানি কারন প্রতিষ্ঠানকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!