গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনীর বামন্দী আমিরুল বাজাজ মোটরসাইকেল শোরুম মালিক জিয়াদুল ইসলাম লিজনের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ উঠছে। প্রতারনার অভিযোগ পেয়ে বুধবার দুপুরে ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান চালায় ঐ মোটরসাইকেল শোরুমে। এসময় কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন শোরুম মালিক।
গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের সানাউল হকের ছেলে লিখন হোসেন বলেন,৩ মাস পূর্বে বামন্দী আমিরুল বাজাজ মোটরসাইকেল শোরুম মালিক জিয়াদুল ইসলাম লিজনের কাজ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় কালো কালার ও লাল বর্ডার একটি বাজাজ মোটরসাইকেল ক্রয় করি। মোটরসাইকেলটি ধোয়ামোছা করার কারনে গাড়ীর রং পরিবর্তন হয়ে সবুজ রংয়ের রুপ ধারন করছে। তিনি প্রতারনার স্বীকার হয়েছেন দাবি করে ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছেন।
বামন্দী বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবু জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে সার্বিক বিষয় জানার পর মন্তব্য করা সম্ভব হবে।
বামন্দী আমিরুল বাজাজ মোটরসাইকেল শোরুম মালিক জিয়াদুল ইসলাম লিজন বলেন,রং পরিবর্তনের বিষয়টি তার জানা নেই। যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলের কোম্পানীর সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেহেরপুর ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সজল আহমেদ বলেন, প্রতারনার অভিযোগ পাওয়ার পর বামন্দী আমিরুল বাজাজ মোটরসাইকেল শোরুমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তাৎক্ষনাক শোরুম মালিক কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। কাগজপত্র দেখানোর জন্য একদিন সময় চেয়েছেন তাই শোরুমের মালিক জিয়াদুল ইসলাম লিজনকে সময় দেয়া হয়েছে। অনিয়ম পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান চালানোর পর থেকে অভিযোগকারী গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের সানাউল হকের ছেলে লিখন হোসেনকে ম্যানেজ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে লিখনকে মোটরসাইকেল পরিবর্তন করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছে বামন্দী আমিরুল বাজাজ মোটরসাইকেল শোরুম মালিক জিয়াদুল ইসলাম লিজন।
আমিরুল বাজাজ মোটরসাইকেল শোরুম মালিক জিয়াদুল ইসলাম লিজন বামন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলামের ছেলে। সম্প্রতি তার পা ভাঙ্গা নিয়ে এলাকায় অনৈতিক নানা গুঞ্জন উঠেছিলো।