গাংনীর বামন্দী ফজলু ক্লিনিকের সরকারী অনুমোদন নেই

কর্তৃক farukgangni

ফারুক আহমেদ:

মেহেরপুরের গাংনীর বামন্দী আল শেফা ক্লিনিকের (ফজলু ক্লিনিক) কোন সরকারী অনুমোদন নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্প কর্মকর্তা ডা: এম রিয়াজুল আলম। রবিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে একেরপর এক রোগী মৃত্যু’র ঘটনায় তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে আল শেফা ক্লিনিকের (ফজলু ক্লিনিক) বিরুদ্ধে। রোগীর মৃত্যু সহ নানা অভিযোগের তদন্ত করতে গত শনিবার গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এম রিয়াজুল আলম ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও ) ডা: সাদিয়াকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্প কর্মকর্তা ডা: এম রিয়াজুল আলম বলেন,গত বছরের অনুমতি ছিলো। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত অনুমোদন দেয়া হয়নি। তবে অনুমোদনের জন্য কাগজ পত্র দাখিল করেছে। তাদের অনুমোদ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ক্লিনিক মালিক নজরুল ইসলাম বলেন,গত বছরে ক্লিনিকের অনুমোদন ছিলো যার নং এইচ,এস,এম,৪৩১৪৬২৩। চলতি বছরে অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছে। যে কোন সময় অনুমোদন হতে পারে। সকলেই পূর্বের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে ক্লিনিক পরিচালনা করছেন।
অনুমোদনহীন ক্লিনিকে অপারেশন বা কার্যক্রম চালাতে পারেন কি না জানতে চাইলে ডা: ফজলুল হক (মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট) বলেন অপারেশন কিংবা ক্লিনিক চালাতে পারি কি না সিভিল সার্জনের কাছ থেকে জেনে নেন।
মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডা: মো: নাসির উদ্দীন জানান,যে ক্লিনিকের বৈধতা নেই সে ক্লিনিকের কার্যক্রম পরিচালনা সম্পূর্ন অবৈধ। অবৈধ ক্লিনিকে যদি মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা: ফজলুর রহমান অপারেশন করে থাকেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি ক্লিনিক সিলগালা করে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য : মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ফজলুল হক তার ভাইয়ের ক্লিনিকে সুরভী খাতুন নামের এক গৃহবধুর সিজারিয়ান অপারেশনে করার পর গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়। গত বুধবার বিকালে বামন্দীর আল শেফা ক্লিনিকে (ফজলু ক্লিনিক) তার সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!