গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
জেল জরিমানার হাত থেকে রক্ষা পেতে অবশেষে লিখন হোসেনকে নতুন পালসার মোটরসাইকেল দিয়েছে গাংনীর বামন্দী আমিরুল বাজাজ মোটরসাইকেল শোরুম মালিক জিয়াদুল ইসলাম লিজন। বুধবার রাতে লিখন হোসেন সহ তার পরিবারেরর সদস্যদের ডেকে ভুল স্বীকার করে পূর্বে দেয়া গাড়ী ফেরত নিয়ে নতুন গাড়ী দিয়েছে। এদিকে মোটরসাকেলের রং পরিবর্তন করে বিক্রির ঘটনায় এলাকায় বইছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। প্রতারনার অভিযোগ তুলে জিয়াদুল ইসলাম লিজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি এলাকাবাসির।
ভুক্তভুগী গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের সানাউল হকের ছেলে লিখন হোসেন বলেন,ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ বামন্দী আমিরুল বাজাজ মোটরসাইকেল শোরুমে অভিযান চালানো ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের শোরুম মালিক জিয়াদুল ইসলাম লিজন তার ভুল স্বীকার করে বিভিন্ন ভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত মানবিক কারনে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে এবং বুধবার রাতেই পূর্বে দেয়া গাড়ী ফেরত নিয়ে নতুন পালসার মোটরসাইকেল দিয়েছে। একারনে ভোক্তা অভিদপ্তরে দেয়া অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে কথা বলতে বামন্দী আমিরুল বাজাজ মোটরসাইকেল শোরুম মালিক জিয়াদুল ইসলাম লিজনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
মেহেরপুর ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সজল আহমেদ বলেন,লিখন হোসেন তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে বামন্দী আমিরুল বাজাজ মোটরসাইকেল শোরুম মালিক জিয়াদুল ইসলাম লিজন পরবর্তীতে এ ধরনের প্রতারনা করে থাকে তাহলে তাকে আর ছাড় দেয়া হবেনা।
উল্লেখ্য : গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের সানাউল হকের ছেলে লিখন হোসেন ৩ মাস পূর্বে বামন্দী আমিরুল বাজাজ মোটরসাইকেল শোরুম মালিক জিয়াদুল ইসলাম লিজনের কাজ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় কালো কালার ও লাল বর্ডার একটি বাজাজ মোটরসাইকেল ক্রয় করে। মোটরসাইকেলটি ধোয়ামোছা করার কারনে গাড়ীর রং পরিবর্তন হয়ে সবুজ রংয়ের রুপ ধারন করছে। তিনি প্রতারনার স্বীকার হয়েছেন দাবি করে ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন। প্রতারনার অভিযোগ পেয়ে বুধবার দুপুরে ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান চালায় ঐ মোটরসাইকেল শোরুমে। এসময় কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন শোরুম মালিক জিয়াদুল ইসলাম লিজন। আমিরুল বাজাজ মোটরসাইকেল শোরুম মালিক জিয়াদুল ইসলাম লিজন বামন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলামের ছেলে।