ফারুক আহমেদ,গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
গাংনী উপজেলার ষোলটাকায় আরিফুল ইসলাম কলমের অপরিকল্পিত মাছের কারখানা গড়ে তোলায় ৩০টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। আসছে বর্ষা মৌসুমে এ গ্রামের হাজার বিঘা পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ার আশংখা মৎস্যচাষিদের। স্থানীয়রা জানান, আরিফুল ইসলাম কলম তার জমিতে প্রাচীর দেন। এরপর সেই প্রাচিরের উপর ঘর তুলতে থাকেন। বঘর তৈরি করার কারনে ২০-৩০ পরিবার এই শুস্ক মৌসুমে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছি। আগামী বর্ষায় আমরা বন্যার কবলে পড়বো। ষোলটাকা গ্রামের আজিজুল হক বলেন, এ গ্রাম মাছ চাষের জন্য বিখ্যাত। এখানে হাজার হাজার বিঘা জমিতে মাছ চাষ হয়। আর মাছ চাষ করতে পুকুরের পানি পরিবর্তন করতে হয়। পানি পরিস্কার ও জিবাণুমুক্ত রাখতে এক পুকুরের পানি অন্য পুকুরে দিতে হয়। পানি নিষ্কাশণ করে বেরও করে দিতে হয়। কিন্তু আরিফুলের এই মাছের খাবার তৈরি করা কারখানার কারনে আমাদের পুকুরের পানি বের করতে পারছিনা। এতে আমাদের মাছের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এমনকি আগামী বর্ষামৌসুমে হাজার বিঘা পুকুরের পানি উপচে মাছ ভেসে যাবার সম্ভাবনা আছে। এতে মাছ চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ষোলটাকা গ্রামের মেম্বার মলনাল হোসেন বলেন, এই জনবসতি গ্রামের মধ্যে কিভাবে কারখানা গড়ে উঠলো আমি জানিনা। তবে মানুষ পানিবন্দী হওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে। গাংনী উপজেলা নির্বহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিল মালিক আরিফুল ইসলাম বলে, কারোর যেন কোন ক্ষতি না হয় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনবসতিতে এই কারখানা করার কোন অনুমোদন আছে কিনা এ প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননী।