গাংনী নিউজ টােয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনীর হাড়াভাঙ্গা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রীস আলী (টুকুল মাষ্টার) কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অনিয়ম দূর্নীতি,অসাদ আচরন ও সভাপতির স্বাক্ষর জাল সহ নানা অভিযোগে তাকে বহিস্কার করেছে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো: মুনছুর আলী। গত ২রা নভেম্বর একটি পত্রের মাধ্যমে বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বহিস্কারের অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের সচিব,মহাপরিচালক,উপপরিচালক,জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে দেয়া হয়েছে।
হাড়াভাঙ্গা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো: মুনছুর আলী বলেন,শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ,একই পদে একাধি ব্যক্তিকে নিয়োগ,জেলা পরিষদের বরাদ্দ অর্থ লুটপাট,ইলিয়াস হোসেন নামের এক শিক্ষকের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে তাকে নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজ দেয়া হয়নি।
এছাড়া সভাপতির স্বাক্ষর জাল সহ টিউশন ফি,ভর্তি ফি,পরীক্ষা ফি,শিক্ষার্থীদের বেততের ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ সহ নানা অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মুনছুর আলী।
এদিকে ২০০৩ সালে ১২ ও ২০১৫ সালে ২৫ জন সহ বিভিন্ন সময়ে বিধি বর্হিভুত শিক্ষক নিয়োগ কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞাপন করা হয়েছে যা অনৈতিক এবং কর্মরত শিক্ষকদের নিয়ম মাফিক নিয়োগ দেয়া হয়নি,সাহাব উদ্দীনকে দপ্তর পদে ১২ লাখ ৭২ হাজার টাকা নিয়েও নিয়োগ ও টাকা ফেরত দেয়া হয়নি। এছাড়া গাজিউর রহমানের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েও পরিচ্ছনকর্মী পদে নিয়োগ দেয়া হয়নি। তাছাড়া সভাপতির স্বাক্ষর জাল সহ নানা অভিযোগে ২৫ অক্টোবর জেলা শিক্ষা অফিসার আব্বাস আলী কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।
এদিকে গত ৯ নভেম্বর সকাল ১১ টার দিকে ৫/৭ জন বহিরাগতদের নিয়ে সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক ইদ্রীস আলী টুকুল জোর পূর্বক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষক কর্মচারীদের হুমকি দিয়ে হাজিরা খাতা,বিভিন্ন রেজিষ্ঠার সহ মূল্যেবান কাগজপত্র নিয়ে যায়। এঘটনায় ঐ রাতেই বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো: মুনছুর আলী বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি জিডি করেছে। যার নং ৩৯৭।
এছাড়া হাড়াভাঙ্গা গ্রামের আবু বক্করের ছেলে ইলিয়াস হোসেন বাদী হয়ে একটি প্রতারনা সহ নানা অভিযোগে একটি মামলা করেছে যার নং ৬৭৫/২৩ এবং হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মওলা বকসের ছেলে সাহাব উদ্দীন বাদী হয়ে প্রতারনা টাকা আত্মসাৎ সহ নানা অভিযোগে অঅরো একটি মামলা করেছে যার নং ৬৮২/২৩ মামলা দুটি বর্তমানে মেহেরপুর আদালতে চলমান রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে সাময়িক বহিস্কার হওয়া প্রধান শিক্ষক ইদ্রীস আলীর (টুকুল মাষ্টার) ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। একারনে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।