গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুর এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমানের ব্যাংক হিসাব তলব ও দুদকের তদন্ত দাবি করেছে বামুন্দী এলাকার বাসিন্দারা। আব্দুর রহমান লুটপাট করে নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন উল্লেখ করে তার অয় ব্যায়ের হিসাব নিতে কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার জানান, সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান মেহেরপুর এলজিইডিতে ১৭/০২/২০০৪ সালে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে মেহেরপুর এলজিইডি অফিসকে নিয়ন্ত্রন নিয়ে গড়ে তুলেছেন সিন্ডিকেট। সেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। এছাড়া নিজের পছন্দ মত ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়া ও নি¤œ মানের সরাঞ্জাম দিয়ে কাজ করার সহায়তার আশ্বাস দিয়ে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। কোন ঠিকাদার সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে কথা বললে কিংবা কমিশন দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ঠিকাদারদের নানা ভাবে হয়রানী করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান স্বঘোষিত নির্বাহী প্রকৌশলী। তার কথামত কাজ না করলে সিন্ডিকেটের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ঠিকাদারদের লাঞ্চিত করা হয়। তাই সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমানের সকল অবদার মেনেই ব্যবসা করতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলজিইডি’র এক কর্মকর্তা জানান, সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান ১৭/০২/২০০৪ সালে মেহেরপুরে যোগদান করার পর থেকে অবৈধ ভাবে টাকা আয় করে মেহেরপুর শহরের বেশ কয়েকটি বাড়ি ও জমি ক্রয় করেছেন। কালাম মার্কেটের পিছনে মুখার্জি পাড়া সামনে গড়ে তুলেছেন স্বর্ন কমল। দুদক,এনবিআর ও গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়াতে স্বর্নকমল বাদ দিয়ে এলজিইডির ডরমেটরিতে থাকেন আব্দুর রহমান। এদিকে গাংনীর বামুন্দী অঞ্চলের ৩ রাস্তার কাজ বন্ধে সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে কলকাটি নাড়ার অভিযোগ তুলেছেন ঠিকাদার ও ভুক্তভুগীরা। এ ঘটনায় আব্দুর রহমানের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হবে বলে জানিয়েছেন বামুন্দী উপজেলা বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি। ঐ রাস্তার ঠিকাদার জাকামোল্লা ও ভুক্তভুগীরা জানান, সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমানের কারসাজির কারণে বামুন্দী অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছে। সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমানের পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ার কারণে কার্যাদেশ বাতিল করতে উর্দ্ধর্ত্বন কর্তৃপক্ষকে অবগত করার পর টেন্ডার বাতিল হয়। পরে হাইকোর্টে মামলা করা হয়। মামলা ঠিকাদার জাকামোল্লার পক্ষে আসলেও সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমানের চক্রান্তে মামলাটি আপিল করা হয়। একারনে রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এসব বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বুধবার দুপুর থেকে রাত্রী ১০ টা পর্যন্ত বেশ কয়েকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য: গাংনী উপজেলার বামুন্দী-কাজিপুর,কাজিপুর নওদাপাড়া,আকুবপুর মোহাম্মদপুর হয়ে গোয়াল গ্রাম পর্যন্ত এই সড়কটি ঠিকাদারের মামলার কারনে দীর্ঘ কয়েক বছর সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। একযুগেরও বেশি সময় আগে সংস্কার হলেও বর্তমানে ঐ সড়ক গুলো দিয়ে চলাচল কষ্ট সাধ্য হয়েছে পড়েছে। গাংনী উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে জানা গেছে, ১ বছর পূর্বে বামুন্দী কাজিপুর সড়ক ১ কোটি ৫ লক্ষ,মোহাম্মদপুর-গোয়াল গ্রাম ১ কোটি ১৩ লক্ষ ও নওদাপাড়া-কাজিপুর সড় প্রায় ৩ কোটি টাকার টেন্ডার হয়। কিন্তু লটারি বিজয়ীদের কাজ না দেওয়ার কারনে মামলা করলে সড়ক সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।