গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
একদিকে মেয়ের পড়াশুনার খরচ অন্য দিকে সংসার দুই দিক সামলাতে অনাহারে অর্ধাহারে দিন পার করছেন গাংনীর চরগোয়ালগ্রাম গ্রামের প্রতিবন্ধী জনিরউদ্দীন (৫৫)। একদিকে প্রতিবন্ধীতার অভিশাপ, অন্য দিকে ভাত কাপড়ের যুদ্ধে যেন পরাজিত এক সৈনিক জনিরউদ্দীন। জনিরউদ্দীন জানান, অনেক কষ্ট করে মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়েছি। এবার আমার মেঝো মেয়ে শাপলা এসএসসি পরীক্ষা দেবে। স্কুলে মাসিক বেতন মওকুফ হলেও পরীক্ষার ফিস দেয়া লাগে। অনেক অনুনয়-বিনয় করে শিক্ষকদের কাছে অপারগতা- অক্ষমতা দেখালেও পরীক্ষার ফরম পূরণে ১৭০০ টাকা নিয়েছে। মেয়ে মানুষ হবে এই স্বপ্ন বুকে লালন করে আমি ৩ কন্যা সন্তান নিয়ে খেয়ে- না খেয়েই দিনাতিপাত করছি। অনেক দেন দরবার করে সমাজ সেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পেয়েছি। আত্ম মর্যাদা রক্ষা এবং সমাজের কাছে মেয়েদের মাথা উঁচু রাখতে আমি কারও কাছে হাত পেতে সাহায্য ভিক্ষা করিনা। তবে ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ী অথবা হুইল চেয়ার সহায়তা করলে আমি চলাফেরা করতে পারতাম। জনিরউদ্দীনের মেয়ে শাপলা জানান, অক্ষম বাবা কাজ করতে পারে না।আমার বাবা কখনও ভিক্ষাবৃত্তি করেন না। ব্যাটারী চালিত অথবা মোটর চালিত ভ্যানের অভাবে আমার বাবা হাতে পায়ে ভর দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে চলাফেরা করে। সে আরো জানায়,আরবিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষা দিবে। টাকার অভাবে পায়ে হেটে প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যেতে হয়। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, এরকম অসহায় মানুষের পাশে মানবিক কারনে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা দরকার। বিষয়টি দেখবো।