গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
গাংনী উপজেলা আনসার-ভিডিপির আধাপাকা কার্যালয়ের সংস্কার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ লক্ষ ১১ হাজার ৮শ’ ৯০ টাকা। সম্প্রতি গাংনী উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের সংস্কারের কাজে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। নামমাত্র কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লেও সংশ্লিষ্ট মহলের টনক নড়েনি। দুর্নীতি খুঁজতে জনপ্রতিনিধি বৃন্দ,সরকারী কর্মকর্তারা উঠে পড়ে লাগলেও অজ্ঞাত কারণে সকলেই নিরব ভুমিকা পালন করছে। ২ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এর কোন প্রতিকার না হওয়ায় সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এর রহস্য কোথায়? । মেহেরপুরের হালদার পাড়ার আনিছুর রহমান লাভলু ঠিকাদার হিসাবে নির্মাণ কাজে বড় ধরণের ঘাপলা ও দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ উঠলেও তিনি বহাল তবিয়তে নি¤œমানের কাজ করে যাচ্ছে। কেউ দেখার নেই। উল্লেখ্য, গাংনী উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়টি ছোট ছোট ৩ টি কক্ষ বিশিষ্ট আধাপাকা টিনসেডের তৈরী ঘর পূর্বে থেকেই ছিল। দীর্ঘদিনের নির্মিত টিনসেডের ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়লে আনসার-ভিডিপির প্রধান কার্যালয়ের বরাদ্দ থেকে সংস্কার কাজের প্রকল্প নেয়া হয়। আনসার-ভিডিপির জেলা এ্যাডজুটেন্ট (কুষ্টিয়া অঞ্চল) তরফদার আলমগীর হোসেন জানান, আমি চেয়েছিলাম, ঘরটি পূণঃ নির্মিত করতে। কিন্তু আমার অজান্তে আগেই সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়ে গেছে।আমি আপত্তি জানিয়েছিলাম। আমি নির্মিত আধাপাকা ঘরটির সংস্কার কাজ দেখেছি। আমার মনে হয়েছে, উক্ত টিনসেডের ঘরটি সংস্কার করতে ১৪ লক্ষ টাকার কোন প্রয়োজন ছিল না। যে কাজ করা হয়েছে সেটুকু ৫ লক্ষ টাকায় নির্মাণ করা সম্ভব। এর মধ্যে ভ্যাট-ট্যাক্স বাদ দিলেও টিনসেডের ঘর করা দুঃসাধ্য ছিল না। এব্যাপারে আনসার ভিডিপির প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান হাবীব জানান, প্রকল্পের ডিজাইন ধরে কাজ করা হচ্ছে। উক্ত ঘরে অনেক ধরণের আসবাবপত্রসহ নানান মালামাল ক্রয় করতে হবে।আপাত দৃষ্টিতে খরচ কম মনে হলেও কাজটি সম্পন্ন করতে অনেক টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে অনেক ব্যয় ধরা রয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল জানান, অভিযোগের কারণে আমি এবং সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন মহোদয়কে নিয়ে সরেজমিনে ঘুরে দেখেছি। বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে। এদিকে দুর্ণীতির খোঁজখবর নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে বরাদ্দকৃত ব্যায়ে ঘরটি সংস্কার করার জন্য জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকার সচেতনমহল।