গাংনী নিউজ টােয়েন্টিফোর ডটকম :
রাত পোহালেই বড়দিন। মেহেরপুর জেলার খ্রীস্টিয় পল্লীগুলোতে সাজ সাজ রব। সুসজ্জিত করা হয়েছে গীর্জাগুলো। নিজেদের ও বিশ্বের কল্যান কামনায় প্রার্থণা করবেন খ্রীস্টিয় সম্প্রদায়ের লোকজন।
খ্রীষ্টান পল্লীগুলো ঘুরে দেখা গেছে, মুজিবনগর উপজেলার ভবরপাড়া, বল্লভপুর, কেদারগঞ্জ এবং গাংনী উপজেলার নিত্যনন্দপুর,চৌগাছা,জুগিন্দা গ্রামের খ্রীস্টিয় ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে বাড়িতে তোলা হয়েছে স্টার, লাইটিংয়ে ভরা ক্রীসমাস ট্রি, বিভিন্ন স্থানে চলছে গোশালা তৈরির কাজ। গীর্জাগুলোতে চলছে সুসজ্জিতের কাজ। সাজানো হচ্ছে নিজের ঘরবাড়ি। ২৪ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে শুরু হবে বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা। মধ্যরাতে বড় ঘন্টা বাজিয়ে প্রভু যীশুর ভোজ ও আলেলুইয়া গানের মাধ্যমে শুরু হবে প্রার্থণা। থ্রীস্টান পল্লীগুলোতে তাই এখন সাজ সাজ রব। শিশু ও বড়দের জন্য কিনছেন নতুন নতুন পোশাক। বাড়িতে বাড়িতে তৈরি করা হবে মজাদার সব খাবার। নিজের ও পরিবারের কল্যান কামণায় প্রভূ যীশুর কাছে প্রার্থণা করবেন তারা।
প্রতিটি ঘরে এখন সাজ সাজ রব। তৈরি হচ্ছে গোশালা। কারণ প্রার্থণা শেষে সকলে কির্তন গানের মধ্য দিয়ে গোশালাগুলো পরিদর্শন করবেন সকলে। বাড়িতে বাড়িতে চলছে পিঠাপুলি সহ নানা ধরনের খাবর তৈরির কাজ। বড়দিন উপলক্ষে বল্লভপুর ও নিত্যানন্দনপুর মাঠে বসবে মেলা।
বল্লভপুর ইম্মানুয়েল চার্চের পুরোহিত দিনারির দিন মৃতু্যুঞ্জয় মন্ডল জানান, বিশ্বের মঙ্গল ও কল্যান কামনায় প্রার্থণা করবেন খ্রীস্টিয় ধর্মাবলম্বীরা। পাপ থেকে নিজেকে মুক্তির জন্য চলবে যীশুর কাছে প্রার্থণা। এছাড়াও এবারের মূল প্রার্থণা হবে যুদ্ধ থেকে মুক্তির। কারণ ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের আজ অস্থিতিশীল। তৈরি হয়েছে নানামুখী সমস্যা। এ সমস্যা দূর করতে ও করোনার যাতে আর হানা না দেয় সেই লক্ষে ইশ্বরের কাছে প্রার্থণা করবেন সকলে।
ধর্মীয় গুরুরা বলছেন, যেন জাতিতে জাতিতে কোন বিভেদ না থাকে ও যুদ্ধ বিগ্রহ বন্ধ হয় এ প্রার্থণা করা হবে প্রভু যীশুর কাছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন,নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে পুশিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আশা করি শান্তিপূর্ন ভাবে শুভ বড় দিন উৎযাপিত হবে।