গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
বাসি-পচা খাবার ও নোংরা পরিবেশের কারণে মেহেরপুর শহরের কলেজ মোড় এলাকার দুটি হোটেলকে জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে আলোচিত ইয়ারুল হোটেলকে ১৫ হাজার ও ইসলামিয়া হোটেলকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরের দিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: সজল আহম্মেদ এ জরিমানা করেন। তিনি জানান, বাসি-পচা ও মানহীন খাবার এবং নোংরা পরিবেশের কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ইয়ারুল হোটেলকে ১৫ হাজার টাকা ও ইসলামিয়া হোটেলকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন মেহেরপুর শহরের গুরুত্বপূর্ন ও দূর্ঘটনার ঝুঁকি কবলিত এলাকা কলেজ মোড়। সেখানে সরকারী জমি ছাড়াও কুষ্টিয়া-মেহেরপুর ও মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা প্রধান সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে ইয়ারুল হোটেল ও ইসলামিয়া হোটেল সহ অন্যান্য দোকানপাট। কলেজ মোড় গোল চত্তরের কাছে গড়ে ওঠা হোটেলের কারনে প্রায় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর প্রধান সড়ক দখলের মহাউৎসব শুরু হয়।
কয়েকজন বাস চালক জানান,গোল চক্কর পার হতে অনেক সময় দূর্ঘটনা ঘটে। মেহেরপুরের শহরের ইজিবাইক চালক বলেন,ইয়ারুল হোটেলের সামনে সন্ধ্যার পর প্রচুর পরিমান মোটরসাইকেল সহ যানবাহন থাকার কারনে তাদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ইয়ারুল হোটেলের মালিক প্রভাবশারী হওয়ার কারনে কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না। সড়ক দখল করে হোটেল করার এবিষয়ে জানতে ইয়ারুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মেহেরপুর সড়ক জনপদ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: মিজানুর রহমান বলেন,প্রধান সড়ক দখল করে হোটেল সহ দোকানপাট গড়ে উঠেছে এই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। উচ্ছেদের বিষয়ে ব্যস্থা নেয়া হবে।
অভিযানের সময় কৃষি বিপণন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, নিরাপদ খাদ্য অফিসার রিয়াজ মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। মেহেরপুর জেলা পুলিশের একটি দল অভিযানে সহযোগিতা করে। এর আগে কলেজ মোড় এলাকার মেহেরপুর ফিলিং স্টেশন ও চুয়াডাঙ্গা রোডের অয়ন ফিলিং স্টেশনে অভিযান চালান একই দল। তবে পরিমাপ ঠিক থাকায় সেখানে কোনো জরিমানা করা হয়নি। এছাড়া বিভিন্ন দোকানে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হয়।