মেহেরপুর জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। দর্শকের ভুমিকায় কর্তৃপক্ষ

কর্তৃক farukgangni

ফারুক আহমেদ :

মেহেরপুর জেলায় দিন দিন করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু’র সংখ্যা বাড়ছে। এ পর্যন্ত জেলায় সংসদ সদস্য,চিকিৎসক,শিক্ষক,নার্স সহ ৩শ’৫৪ জন করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। জেলায় প্রথম করোনা সনাক্ত হওয়ার পর মানুষ স্বাস্থ্য বিধি ও সচেতন হয়ে চলাচল করলেও প্রশাসনের নজর দারির অভাবে হযবরল অবস্থা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বাজার ঘাটে জনসমাগম বৃদ্ধি হলেও প্রতিকারে ভ্রাম্যমান আদালত সহ প্রশাসনের নেই কোন দৃশ্যমান ব্যবস্থা। কাকডাকা ভোর থেকে মেহেরপুর সদর,গাংনী ও মুজিবনগরের দোকানপাট সহ পথে প্রান্তরে মানুষের বেপরোয়া চলাচলের কারনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে ধারনা সচেতন মহলের।
জানা গেছে,গত ২২ এপ্রিল মেহেরপুর জেলায় (মুজিবনগরে ) প্রথম করোনা রুগী সনাক্ত হয়। সনাক্ত হওয়ার পর থেকে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এরপর একেরপর এক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় সব কিছুই চলছে স্বাভাবিক।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,হাট বাজার গুলোতে মুখে মাস্ক না পড়েই যত্রতত্র চলাচল কারনে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে এলাকাবাসি। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লায় করোনার আলোচনা চললেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসিন তারা।  ১৫ আগষ্ট শনিবার গাংনী বাজার ঘুরে দেখা গেছে,সাপ্তাহিক হাট থাকায় হাজার হাজার মানুষ অসচেতন হিসেবে চলাচল করছে। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সামাজি দুরত না মেনে চলাচল করছে। সচেতন কিংবা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় দেখা যায়নি কোন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশের কোন সদস্য।  এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম শাহনেওয়াজের মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়। গাংনী থানার ওসি তদন্ত মো: সাজেদুল ইসলাম জানান,ইতোমধ্যে পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবকে রাত ৮ টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া সচেতনা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে মানুষ নিজ থেকে সচেতন না হওয়া ও আইন না মানার প্রবনার কারনে জনসমগনের সৃষ্টি হচ্ছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা: মো: রিয়াজুল আলম জানান,স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহবান জানানো হচ্ছে। মানুষ সচেতন না হওয়ার কারনে করোনা সংক্রামন ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষ সচেতন ও স্বাস্থ্য বিধি না মানলে করোনা ভয়াবহ রুপ ধারন করতে পারে।
সচেতন মহলের দাবি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দিয়ে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা ও আইন প্রয়োগে পুলিশকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেন তারা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!