গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী করবী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ক্লিনিক মালিক জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: নাদির হোসেন শামীম।
জানা গেছে, গাংনী উপজেলার কালিতলা কল্যাপুর গ্রামের পিংকুর স্ত্রী রিভা খাতুন(২২) প্রসব বেদনা উঠলে তার পরিবারের লোকজন করবি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভোরের দিকে ভর্তি করেন। ডাক্তার আসছে, আসবে, চলে এসেছে, বলে ওই রোগীকে প্রায় ছয় ঘন্টা আটকে রাখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। পরে দুপুর দেড়টা নাগাদ সিজারিয়ান অপারেশন করেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার বিডি দাস।
অপারেশন করার পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। নবজাতকের মৃত্যুর পর ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ তড়িঘড়ি করে রোগী ও নবজাতককে ক্লিনিক থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করলে রোগী স্বজনরা জোরপূর্বক অবস্থান নেন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গাংনী উপজেলা সরকারি কমিশনার ভূমি নাদির হোসেন শামীম ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সু-প্রভা রানী।
এ বিষয়ে জানতে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বিডি দাসের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আজ দুপুরে আমাকে অপারেশনের জন্য ডাকা হয়।অপারেশনের পর নবজাতককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।নবজাতক পেটের মধ্যে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
গাংনী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সু-প্রভা রানী জানান, ডাক্তার আসার অজুহাতে সিজারিয়ান রোগীকে প্রায় ছয় ঘন্টা হাসপাতালে রাখার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। হাসপাতালের বৈধ কাগজ পাত্র না থাকার সত্যতা স্বীকার করেন তিনি।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম জানান, ৬ ঘন্টা রোগীকে আটকে রেখে তারপর সিজারিয়ান অপারেশনে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে, অভিযান চালিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ২০০৯ এর ৫২ ধারায় করবি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর স্বত্বাধিকারী জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।