দেশের একজন ব্যক্তি প্রতি মাসে গড়ে ৩ হাজার ৯৪০ টাকা আয় করেন। আর প্রতি পরিবারের মাসিক গড় আয় ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৬ সালের খানা আয় ও ব্যয় জরিপের চূড়ান্ত ফলাফলে এই চিত্র ওঠে এসেছে।
আগের ছয় বছরের ব্যবধানে মাসিক মাথাপিছু আয় ও পরিবারের আয়—দুই ক্ষেত্রেই বেড়েছে। ২০১০ সালে এ দেশের একজনের প্রতি মাসে আয় ছিল ২ হাজার ৫৫৩ টাকা। ছয় বছরের ব্যবধানে ব্যক্তির গড় আয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ। আর পরিবারের আয় বেড়েছে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। তবে এই আয় কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের একক আয় নয়। সব মানুষ ও পরিবারের আয়কে মানুষ ও পরিবারপ্রতি ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিবিএস এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০১৬–এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিবিএসের মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন। এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিবিএসের জাতীয় হিসাব শাখার পরিচালক জিয়া উদ্দীন আহমেদ, খানা আয় ও ব্যয় জরিপ প্রকল্পের পরিচালক দিপংকর রায়।
জরিপের চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী, ২০১৬ সালে এ দেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিবিএস প্রক্ষেপণ করেছে যে ২০১৮ সাল নাগাদ দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। অন্যদিকে হতদারিদ্র্যের হার ২০১৬ সালে নেমে এসেছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশে। ২০১৮ সালে তা আরও কমে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে। ২০১৬ সালের পর বিবিএস আর কোনো খানা আয় ও ব্যয় জরিপ করেনি।
এই বিষয়ে কৃষ্ণা গায়েন বলেন, এর আগে প্রাথমিক ফলাফল দেওয়া হয়েছিল। এখন চূড়ান্ত ফলাফল দেওয়া হলো। প্রাথমিক ফলাফলের সঙ্গে চূড়ান্ত ফলাফলের খুব বেশি পার্থক্য নেই।
এবার আসি, এ দেশের মানুষ আয়ের কত অংশ কোথায় খরচ করেন। একটি পরিবার প্রতি মাসে ভোগ ব্যয়ে খরচ করে ১৫ হাজার ৪২০ টাকা। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের মানুষ এখন যত আয় করেন, তার অর্ধেকের বেশি খাদ্যবহির্ভূত পণ্য কিনতে খরচ করে থাকেন।