গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনীতে তুহিন হোসেন (২৮) নামের এক ব্যাক্তিকে অপহরণের ৮ ঘন্টা পর ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা। বুধবার দিবাগত রাত ১০ টায় উপজেলার ছাতিয়ান-কামারখালীর একটি মাঠ থেকে তাকে অপহরণ করা হলেও জোড়পুকুর বাজার থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তুহিন উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে। অপহরণের সাথে জড়িত সন্দেহে তুহিনের দুলাভাই লালনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তুহিনের বাবা হাফিজুল ইসলাম জানান,বুধবার সন্ধ্যায় তার ছেলে ও জামাতা লালন হোসেন গরু ক্রয় ও বেড়াতে তুহিনের শশুরবাড়ি কামারখালী গ্রামে যায়। সেখানে পৌছে গরু ক্রয়ের জন্য তুহিন তার শাশুড়ী মালা খাতুনের কাছে ৫০ হাজার টাকা দেয়। পরে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তুহিন তার চাচা শশুর সোহেল আহমেদ’র মোটরসাইকেল নিয়ে লালনকে বামুন্দীতে রেখে আবার কামারখালী যাওয়ার পথে ছাতিয়ান-কামারখালীর একটি মাঠে কয়েকজন তুহিনের পথরোধ করে। এসময় মটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নিয়ে মারধর করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। পরে তুহিনের কাছে থাকা মোবাইল থেকে অপহরণকারীরা তুহিনের চাচা শশুর সোহেলকে কল দিয়ে ২ লক্ষটাকা চাঁদাদাবি করে। চাঁদার টাকা না পেলে হত্যারও হুমকী দেয়া হয়। এরপর চলে রাতভর চাঁদা লেনদেনের নাটকীয়তা। তুহিনের চাচা শশুর সোহেল আহমেদ অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে অপহরণের সাথে জড়িত রয়েছে মর্মে সন্দেহ হয়। তিনি আরো জানান,তার জামাতা লালন হোসেন নির্দোষ। তুহিনের নিকট আতœীয় ছাতিয়ান গ্রামের ইউপি সদস্য লিটন হোসেন জানান,রাতভর তুহিনের চাচা শশুর সোহেল ও অপহরনকারীদের সাথে আমার ২ লক্ষটাকা চাঁদার বিষয়ে কথা হয়। অপহরণের বিষয়ে সোহেল চাঁদার টাকা লেনেদেনে তৎপরতা দেখতে পাওয়া যায়। এ ঘটনার সাথে সোহেল জড়িত রয়েছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব তথ্য পাওয়া যাবে। তবে সোহেল আহমেদ অপহরণের সাথে জড়িত নয় দাবি করে বলেন,তুহিন আমার ভাইয়ের জামায় অপহরনের পর তাকে রাতভর খুঁজাখুজি করেছি। এমনকি ছেড়ে দেওয়ার জন্য অপহরণকারীদের সাথেও এ বিষয়ে কথা বলেছি। এখন পর্যন্ত আমার মটরসাইকেলটিও উদ্ধার করতে পারেনী। তুহিনের পরিবারের সদস্যরা জানায়,চাঁদার ২ লক্ষ টাকা না পেলেও অজ্ঞাত কারণে তুহিনকে অপহরণকারীরা ষোলটাকা মাঠের মধ্যে ভোর রাতের দিকে ছেড়ে দেয়। পরে তুহিন জোড়পুকুর বাজারে অবস্থান করে। সেখান থেকে জনৈক্য এক মাছ ব্যবসায়ীর মোবাইল থেকে তার বাবাকে কল দিলে তাকে উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে নেয়া হয়। মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সার্কেল) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন,বিষটি আমারা পর্যবেক্ষন করছি। সোহেলকেও আমরা সন্দেহের তালিকায় রেখেছি। দ্রত রহস্য উৎঘটন করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য : তুহিন কামারখালি গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে মিমের সাথে প্রায় ৪ মাস পূর্বে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে কিছুটা মনোমালিন্য চলতে থাকে। বেশকিছুদিনপর তার শশুরবাড়ি যায়। এরপর এ অপহরণের ঘটনা ঘটে।