গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনীর এইচএসকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আনোয়ারা খাতুন দিনের পর দিন অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন উত্তোলন করছেন। ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার স্বামী হওয়ায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাইনা। এমনকি অনুপস্থিতির বিষয়টি সকলেই অবগত থাকলেও বহাল তবিয়তে রয়েছে সহকারী শিক্ষিকা আনোয়ারা খাতুন। সহকারী শিক্ষিকা মনোয়ারা খাতুন বলেন,পারিবারিক কারণে সব সময় স্কুলে আসা হয়না। বিষয়টি তার স্বামী ম্যানেজ করে নেয়। সহকারী শিক্ষিকা আনোয়ারা খাতুনের স্বামী ও প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন,আগে অনিয়মিত হলেও এখন নিয়মিত আসে। অনিয়মিত হলেও হাজিরা খাতায় উপস্থিতির স্বাক্ষর কেন জানতে চাইলে তিনি গড়িমসি করেন। এসময় হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ৬ষ্ঠ শ্রেনীর একছাত্র বলেন,সহকারী শিক্ষিকা আনোয়ারা খাতুনকে তার ক্লাসের দু’একজন বাদে কেহই চেনেনো। কারণ তিনি বিদ্যালয়ে আসেননা। পরীক্ষা শুরু হয়েছে একারণে গত দুদিন ধরে স্কুলে আসছে। নবম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী জানান, সহকারী শিক্ষিকা আনোয়ারা খাতুন তাদের বাংলা ক্লাস নিতেন কিন্তুু মাসের পর মাস অনুপস্থিত থাকার কারণে তাদের পড়াশুনা ব্যাহত হচ্্ছে। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জসিম উদ্দীন বলেন, সহকারী শিক্ষিকা আনোয়ারা খাতুন পারিবারিক কারণে অনুপস্থিত থাকতো এটা সঠিক কথা। তবে আর অনুপস্থিত যেন না থাকে তার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরপর অনুপস্থিত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার বলেন, সহকারী শিক্ষিকা আনোয়ারা খাতুন অনুপস্থিতির বিষয়টা আমিও শুনেছি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন হাজিরা খাতায় না কি নিয়মিত স্বাক্ষর রয়েছে সহকারী শিক্ষিকা আনোয়ারা খাতুনের। অনুপস্থিত থেকে কিভাবে স্বক্ষর করলো তার তদন্ত হবে। এবং ব্যবস্থাও নেয়া হবে। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল বলেন, সহকারী শিক্ষিকা আনোয়ারা খাতুনের অনুপস্থিতির বিষয়টি কয়েকদিন আগে শুনেছি। এঠা অন্যায় করেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।