গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনীতে ছেলের পর এবার বাবার নামে ধর্ষনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার উপজেলার মিনাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষন মামলার আসামী হলেন মিনাপাড়া গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে হাসান আলী। এর আগে গত ৭জুল শুক্রবার রাতে হাসান আলীর ছেলে মফিজ প্রতিবেশি এক স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলাকে অপহরণ ও ধর্ষনের অভিযোগে তার নামে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা হওয়ার পর থেকে এখনও মফিজ পলাতক রয়েছে। পিতা পুত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষন ও অপহরন মামলার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য’র সৃষ্টি হয়েছে। মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার মিনাপাড়া গ্রামের আফসানা খাতুনকে (ছদ্দনাম) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিনিয়ত তার সাথে দৈহিক মেলামেশা করায় গর্ভবতী হয়ে পড়ে সে। বিষয়টি হাসান আলীকে জানালে হাসান কিছু টাকা দিয়ে কোন ক্লিনিক থেকে গর্ভপাত ঘটিয়ে আসতে বলে। এতে অপারগতা প্রকাশ করে আফসানা খাতুন (ছদ্দনাম) । পিতৃহীন ঐ কুমারী বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে ব্যার্থ হয়। যতই দিন অতিবাহিত হয় ততই কুমারীর শরীর বাড়তে থাকে। বিষয়টি জেনে যায় পরিবার প্রতিবেশি এমনকি গ্রামবাসিও। বর্তমানে সে চারমাসের গর্ভবতী। নিরুপায় হয়ে অবশেষে ধর্ষনের অভিযোগে আফসানা খাতুন (ছদ্দনাম)। গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এব্যাপারে গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, আফসানা খাতুন (ছদ্দনাম) বাদী হয়ে হাসান আলীর নামে ধর্ষনের একটি মামলা দায়ের করেছে। যার নং ২৪ তাং ২৫/০৬/১৯ ইং। আসামী হাসান আলীকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত শুরু হয়েছে। গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, হাসান আলীর ছেলে ছেলে মফিজের বিরুদ্ধেও গত ৭জুন মিনাপাড়া গ্রামের এক স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে জোর করে ধর্ষনের অভিযোগে গাংনী থানায় একটি ধর্ষন ও অপহরনের মামলা হয়। যার নং ৫ তাং ০৮-০৬-১৯ ইং। মামলার পর থেকে মফিজ পলাতক রয়েছে।