গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
গাংনী উপজেলা ভূমি অফিসে দীর্ঘ ১০ মাস যাবৎ সহকারী কমিশনার (এ্যাসিল্যান্ড) না থাকায় জমি ক্রেতা বিক্রেতাদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল এ্যাসিল্যান্ড হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। সে কারণে তিনি দাপ্তরিক কাজের মাঝে ভূমি অফিসের সকল কাজ সময় মত করতে পারছেন না। অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৯-০৮-২০১৮ ইং তারিখে তৎকালীন এ্যাসিল্যান্ড দেলোয়ার হোসেন বদলী হয়ে গেলে অদ্যাবধি পদটি শূন্য হয়ে রয়েছে। ইতোমধ্যেই অফিসের প্রায় শতাধীক মিস্ কেসের আবেদন জমা হয়ে পড়ে রয়েছে। শুনানী করার সময় না হওয়ায় কেস গুলো ফাইল বন্দী হয়ে পড়ে রয়েছে। অনেক বড় উপজেলা তাই প্রতিদিন আমাদের সময়মত কাজ করতে কষ্ট হয়। নামজারি,খাজনা খারিজের নামে অবাধে বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। জানা গেছে, যে জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান অথবা দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে সেখানে টাকার বিনিময়ে সে জমি নামজারি করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। নামজারি ভলিয়মের বইয়ে গরমিল নিয়ে ভূমি মালিকরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। জানা গেছে, অনেকেই বিদেশ যাওয়ার জন্য আবার অনেকে জরুরী চিকিৎসা করানোর জন্য জমি বিক্রি করতে চাইলে নাম খারিজের দীর্ঘসূত্রিতায় পড়ে তা সম্ভব হচ্ছে না। ভূমি অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের উৎকোচের দাবি মেটাতে গিয়ে অনেকে হিমসিম খেতে হচ্ছে । নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জানান, গাংনী উপজেলায় পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন থেকে গড়ে প্রতিদিন ৫০-৬০ টি নাম খারিজের আবেদন পড়ে। এগুলো যাচাই বাছাই করতে ১ থেকে দেড় মাস পার হয়ে গেলেও সময়মত খারিজ হয় না। দলীয় ও বিশেষ ব্যক্তিদের সুপারিশে কিছু নামজারি ও হোল্ডিং তাড়াতাড়ি করা হয়।