গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে হয়রানি ও ভোগান্তির অন্তহীন অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা। পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম দুর্নীতি কিছুতেই থামছেনা। দিন দিন বাড়ছে পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম ও ভোগান্তি। অনিয়ম দুর্নীতি যেন মেহেরপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের চিরচেনা বন্ধু। পদে পদে টাকা গুনতে হয় এরপরও ভোগান্তির কোন শেষ নেই বলে জানান পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষ। উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক সম্প্রতি মেহেরপুর পাসপোর্ট অফিসের যোগদান করে। যোগদানের পর থেকে অনিয়ম দুর্নীতির মাত্রা বেড়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভুগীদের। স্থানীয় ও ভুক্তভুগীরা জানান,অফিস সহকারী ফাহাদের নিয়ন্ত্রনে চলে মেহেরপুর পাসপোর্ট অফিস। দালাল থেকে শুরু করে অবৈধ লেনদেন সহ সব কিছুই চলে ফাহাদের ইশারায়। দালালির সাথে জড়িয়ে পড়েছে আনসার সদস্যরাও। টাকা না দিলেও আনসার সদস্যদের নির্যাতন ও হয়রানীর মুখে পড়তে হয় পাসপোর্ট করতে আসা ভুক্তভুগীদের। অফিস সহকারী ফাহাদ ও তার নিয়োগকৃত দালালের কব্জায় বন্দি হয়ে পড়েছে মেহেরপুর পার্সপোর্ট অফিস। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বসে থাকলেও অফিস সহকারী সাধারন মানুষের কাছ থেকে আবেদন গ্রহন করছেন। আবেদন গ্রহনকালে সেবা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা না পেলে হয়রানী ও মানষিক নির্যাতন শুরু করলেও দর্শকের মত দাড়িয়ে এসব ঘটনা দেখে সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক। কর্মচারীদের দুর্নীতি আর দালাল সিন্ডিকেটের আধিপত্য এখন যেন প্রতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে এখানে। অফিস সহকারী ফাহাদ সহ কয়েকজন কর্মচারির মদদে খর্ব করছে নাগরিক অধিকার। এদিকে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে গেলে কম্পিউটার অপারেটর সাজাহানের মানষিক নির্যাতন সইতে হয়। সম্পতি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে জানা গেছে, অফিস কর্মকর্তা ও দালাল সিন্ডিকেটের দাপটে চরম ভোগান্তির শিকার পাসপোর্ট প্রার্থীরা। একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, মেহেরপুর পাসপোর্ট অফিসে ৪০ দশমিক ৭ ভাগ দালাল, ৫৪ দশমিক ৭ ভাগ পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী, ৩ ভাগ আনসার, ১ দশমিক ৫ ভাগ ফটোকপি-কম্পিউটার দোকানদার। এদিকে সরকারী মোবাইল ফোন থাকলেও সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক যোগদান করার পর থেকে বন্ধ রয়েছে। কখনও কখনও কিছু সময়ের জন্য খোলা থাকলেও ফোন রিসিভ করেন অফিস সহকারী ফাহাদ। এছাড়া ওয়েভ সাইডে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের নামের তালিকা নেই। এবিষয়ে কথা বলতে সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাকের সাথে দেখা করতে চাইলে আনসার সদস্যরা যেতে বাধা প্রদান করে। পরে সরকারী মোবাইল নম্বর ০১৭৩৩-৩৯৩৩৭১ বন্ধ পাওয়া যায়। ০৭৯১-৬২৫৮২ নম্বর টেলিফোনে কল দিলেও রিসিভ করেনি কেউ। মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনী বলেন,হয়রানী ও অনিয়মের বিষয়টি শুনেছি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে অফিস সহকারী ফাহাদ ও সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অনুলিপি দেয়া হয়েছে দূর্নীতি দমন কমিশনে দেয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।