গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
বান্ধবীরা সকলেই পায়ে হেটে মাদ্রাসায় পড়তে যায়। আমারও খুব ইচ্ছে করে বান্ধবীদের সঙ্গে এক সাথে পড়তে যায়। কিন্তু আমি তো প্রতিবন্ধী ওদের সাথে হাটতে পারিনা। তাই আমার আগেই বান্ধীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌছে যায়। আমার শুধু একটি হুইল চেয়ারের সপ্ন রয়েছে। হুইল চেয়ার হলেই বান্ধীদের সাথে বিদ্যালয়ে যেতে পারবো। দিনমুজুর বাবার পক্ষে সম্ভব হয়না আমাকে একটি হুইল চেয়ার কিনে দিতে তাই প্রতিদিন কষ্ট করে বিদ্যালয়ে যেতে খুব কষ্ট হয়। এ কথাগুলো বলছিলেন মেহেরপরের গাংনী উপজেলার করমদী গ্রামের দিনমজুর জোহা আলীর মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (১২)। সুমাইয়া করমদী মাদ্রাসার ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী। সুমাইয়া খাতুনের মা জানায়, সুমাইয়ার বাবা দিনমজুর হওয়ায় তার পক্ষে মেয়ের হুইল চেয়ারের সপ্ন পুরন করা সম্ভব হয়না। তাই মেয়েটা প্রতিদিন কষ্ট করে স্কুলে যায়। তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে তার মোবাইলফোনে কল দিলে মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান,সুমাইয়া বা তার পরিবার আমার সাথে যোগাযোগ করলে একটি হুইল চেয়ার দেয়া হবে।