গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
এক তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, গাংনী উপজেলায় মাসে বিভিন্ন কোম্পানীর ২ কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি হয়ে থাকে।একদিকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে বেশীরভাগ মানুষ অন্যদিকে স্বাস্থ্য সেবায় খরচের পরিমান অনেক বেশী বলে জানা গেছে।মৌলিক চাহিদার মধ্যে স্বাস্থ্য সেবায় সবচেয়ে বেশী খরচ হওয়ায় স্বল্প আয়ের মধ্যবিত্ত ও নি¤œ মধ্যবিত্ত সাধারণ পরিবারের লোকজন হিমশিম খাচ্ছে।এমন পরিবার রয়েছে, তাদের দৈনন্দিন আনুসঙ্গিক খরচের চেয়ে ওষুধ ক্রয়ের খরচ বেশী। গাংনী উপজেলা শহরে ২ শ’, বামন্দী শহরে ১ শ’ সবমিলিয়ে উপজেলায় কমবেশী ৪ শতাধিক ওষুধ ফার্মেসী রয়েছে। এসব ওষুধের দোকানে রাত দিন সমানে ওষুধ বিক্রি হয়ে থাকে।তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, এসব ওষুধ ফার্মেসীর বেশীরভাগ দোকানের নেই বৈধ লাইসেন্স।তারপরও অধিক মূল্যে ওষুধ বিক্রি করা হয়ে থাকে। মূল্য এছাড়াও উপজেলার গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন মুদিখানা ও সার,কীটনাশকের দোকানেও ওষুধ বিক্রি করা হয়। গাংনীতে কমবেশী ১২০ টি ওষুধ কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টেটিভ (বিক্রয় প্রতিনিধি) রয়েছে। এসব প্রতিনিধিরা কোম্পানীর নির্ধারিত মাসিক টার্গেট পূরণে মরিয়া হয়ে পড়ে।রাতদিন সমানে উপজেলার একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত ছুটে তাদের টার্গেট পূরণে ব্যস্ত থাকে। এমআরদের তথ্যানুয়ায়ী জানা গেছে, গাংনীতে উপজেলায় বিক্রয় প্রতিনিধিদের এসোসিয়েশন রয়েছে।রবিউল ইসলাম সভাপতি ও মশিউর রহমান সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে থাকে। এসোসিয়েশনে ১২০ জন সদস্য রয়েছে। গাংনীতে শীর্ষ ১০ টি কোম্পানীর ওষুধ বিক্রয়ের পরিমাণ জানতে চাইলে নাম প্রকাশে একজন রিপ্রেজেন্টেটিভ জানান, স্কয়ার কোম্পানীর মাসিক বিক্রয়ের পরিমান ৩০ লাখ টাকা,ইনসেপ্টা-২৪ লাখ, বেক্সিমকো-২৫ লাখ,এরিষ্টোফার্মা-২০ লাখ,এসিআই-১০ লাখ,অপসোনিন-১৫ লাখ টাকাসহ অন্যান্য কোম্পানীর ওষুধ মিলে কমবেশী প্রতিমাসে ২ কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি করা হয়। ওষুধের গুণাগুন নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও অন্য একজন বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, কোম্পানীর জরীপানুযায়ী বাংলাদেশের অন্য কোন উপজেলায় উক্ত পরিমান ওষুধ বিক্রয় হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ক্লিনিক মালিক জানান, বিক্রয় প্রতিনিধিরা প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিক বা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের কাছে ধর্না দেয়। এমনকি কোম্পানির ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখতে নানারকম গিফট দিয়ে আকৃষ্ট করে থাকে।পাশাপাশি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বারান্দায় দাড়িয়ে থেকে রোগীদের প্রেসক্রিপশনের ছবি মোবাইল ফোনে তুলে কোম্পানীকে ম্যাসেজ পাঠিয়ে থাকে।
এব্যাপারে সিভিল সার্জন শামীম আরা নাসরিন জানান, এটা শুধু গাংনীতে নয় ওভারঅল সব জায়গাতেই বেশী ওষুধ বিক্রি হয়। সবখানে হয়তো এরকম ষ্টাডি হয় না।ড্রাগ লাইসেন্স ও ওষুধের গুনাগুন, কোথায় বিক্রি হচ্ছে, কারা বিক্রি করছে এসব দেখভালের জন্য ড্রাগ ইন্সপেক্টর রয়েছেন। এটি দেখার দায়িত্ব তাদের।