গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
ভাগ্যবদলের স্বপ্ন নিয়ে মানব পাচারকারীদের প্রলোভনে পড়ে বিদেশ পাড়ি জমিয়েছিল মেহেরপুরের গাংনীর অর্ধশত যুবক। সহায় সম্বল বিক্রি করে পাচারকারীদের হাতে তুলে দিলেও সুখ নামের সোনার হরিণ ধরতে পারেনি তারা। বরং ভাগ্যে জুটেছে নির্মম অত্যাচার। এদের মধ্যে অনেকেই শুণ্য হাতে বাড়ি ফিরলেও কাজ না পেয়ে বন্দি হয়ে রয়েছে ১৬ জন। বন্দি স্বজনদের ফিরিয়ে আনতে পাচারকারীদের কাছে ধর্ণা দিলেও কোন জবাব মেলেনি। তাদের পরিবারে নেমে এসেছে শুধুই হাহাকার। জানা গেছে, ভালো কাজের কথা বলে প্রতিজনের নিকট থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়ে সৌদি আরবে পাঠিয়েছেন মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য আদম দালাল গাংনী উপজেলার হিজল বাড়িয়া গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে নাহিদ।সে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা করে ভূয়া ভিসা দিয়ে খেটে খাওয়া সাধার মানুষকে প্রলোভন দিয়ে বিদেশ নিয়ে গিয়ে ঘরের মধ্যে বন্দি করে রেখেছে।সৌদি আরবে যাওয়ার দশ, দিন পর মোবাইল ফোনে খবর আসে তাদের ভূয়া ভিসা দিয়েছে।কোন কাজ দেওয়া হয়নি।আজ কাল করে ২মাস যাবৎ একটি ঘরের মধ্যে বন্দি করে রেখেছে কোন খাবার ও দেওয়া হচ্ছেনা।সৌদি দালালদের হাতে আটকা পড়েছে। তারা হলো,গাংনী উপজেলার হিজল বাড়িয়া গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে উজ্জল হোসেন,মহিরুদ্দিনের ছেলে ইলিয়াস হোসেন,আব্দুর রহমানের ছেলে টুকু,রশিদ শেখের ছেলে রুবেল হোসেন,কিয়ম মোল্লার ছেলে শফি,।একই উপজেলার কালী গাংনী গ্রামের ইয়ার বক্সর ছেলে নিফাজ উদ্দিন,জামাল হোসেনের ছেলে কামরুল ইসলাম,চাইনার ছেলে সোহান,জফের আলীর ছেলে মাহবুল ইসলাম,মেহেরপুর সদরের বামুন পাড়ার মজিবর রহমানের ছেলে সুমন হোসেন,সুরাত আলীর ছেলে জাকিরুল ইসলাম,দৌওলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে জীবন আহমেদ,হজরত আলীর ছেলে এনামুল হক প্রমুখ। ইলিয়াস হোসেনের মা মনোয়ারা খাতুন ,উজ্জল হোসেনের বাবা জামাল হোসেন ,রশিদ জানান,আমাদের গ্রামের আদম দালাল নাহিদ আমার কাছ থেকে ৬লাখ টাকা নিয়ে ভালো ভিসা দেওয়ার কথা বলে,দুই মাস আগে সৌদি আরবে পাঠিয়েছিলো। দশ দিন পর আমার ছেলে মোবাইল ফোনে বলে বাবা আমাকে কোন কাজ দেওয়া হয়নি।আমাকে একটি ঘরের মধ্যে বন্দি করে রেখেছে।আজ কাল করে দুই মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে কোন কাজ দেওয়া হয়নি। বর্তমানে খাবারও দেওয়া হচ্ছে না।তিনি আরও বলেন ধর্মচাকী গ্রামের আদম দালাল আবু তাহেরের অফিসের মাধ্যমে তারা বিদেশ গিয়েছে।সকলের পরিবার একই কথা জানালেন , তারা টাকাসহ তাদের ছেলে ফেরত পেতে চাই।এবং প্রতারক আদম দালালের বিচার দাবি করেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত হিজলবাড়িয়া গ্রামের আদম দালাল নাহিদ জানান,আমি আমার গ্রামের ৫জনকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছি,একটু সমস্য হওয়ার কারনে তারা কাজ পায়নি।তবে ৪দিনের মধ্যে কাজ পেয়ে যাবে। এব্যাপারে আদম দালাল, আবু তাহের মোবাইল ফোনে বলেন,আমি সবাইকে পাঠিয়েছি এবং কাজ দিয়েছি। তাদের পরিবারের লোকজন অভিযোগ করলে তাদের পায়ে হেটে দেশে ফিরতে হবে। এব্যাপারে গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান,আদম দালালেদর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।