গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনীতে করোনা আক্রান্ত রেজাউল হক (৫০) নামের এক ব্যক্তি বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। সোমবার ভোরে একটি অটোবাইক যোগে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তিনি। রেজাউল হক গাংনী উপজেলার বামন্দি ইউনিয়নের বাদিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান, করোনা আক্রান্ত রেজাউল হক বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে এমন সংবাদ পেয়ে তার বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। তবে তার কর্মস্থল পাবনার চাটমোহর এলাকা সহ বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করা হচ্ছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা: রিয়াজুল আলম জানান, করোনা আক্রান্ত রেজাউল হক বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে এমন সংবাদ পেয়ে তিনি সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা তার বাড়িতে যান। করোনা আক্রান্ত রেজাউল হক ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এমন সংবাদ পাওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে সেখানে রেজাউল হক নামের কেউ ভর্তি হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে। তবে অন্য কোন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে কিনা তা সন্ধান করা হচ্ছে।
রেজাউল হকের স্ত্রী পাবনা জেলার চাটমোহর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মরত হালিমা খাতুন জানান,তার স্বামী ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাড়ি থেকে কেন ঢাকায় গেলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,রেজাউল হক তাকে জানিয়েছে ঢাকায় কাজ রয়েছে তাই চলে এসেছি।
স্থানীয়রা জানান, বাদিয়াপাড়া গ্রামের লিটন আলীর অটোবাইকে চড়ে ভোর ৫টায় মুখে গামছা বেঁেধ একটি বাসে উঠেছে। এ ঘটনায় অটো চালক লিটন আলী সহ তার পরিবারের সদস্যদের লকডাউন করেছে প্রশাসন। তবে অটোবাইক চালক লিটন আলী পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের জানিয়েছে রেজাউল হকের পিতা আব্দুর রহিম মিথ্যা তথ্য দিয়ে অটোবাইক ভাড়া করেছে।
এদিকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার বাড়ি থেকে পালানোর ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। এলাকাবাসির দাবি তার পরিবারের সদস্যদের লকডাউন করে নজরদারিতে রাখার পাশাপাশি রেজাউল হক পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে এলাকাবাসি।
উল্লেখ্য : রেজাউল হক পরিচয় গোপন করে মেহেরপুর ফিন টাওয়ার ঠিকানা দিয়ে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়। নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজেটিভ আসার পর তার বাড়ি গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামে বলে নিশ্চিত হয় প্রশাসন। পরিচয় গোপন করে কেন নমুনা দেয়া হয়েছে এবিষয়ে গত রবিবার রাতে কথা বলতে চাইলে রেজাউল হকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।