গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুর ইসলামের বিরুদ্ধে চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শহীদ মিনারে আমরন অনশন শুরু করেছে মৌমিতা খাতুন পলি নামের এক গৃহবধু। বৃহস্পতিবার দুপর ১২ টা থেকে টাকা ফেরত ও মেয়র এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন না হওয়া পর্যন্ত আমরন অনশন চালানোর ঘোষনা দিয়েছেন সে। মৌমিতা খাতুন পলি পৌর শহরের শিশিরপাড়া গ্রামের বাহাদুর আলীর মেয়ে ও মমিনের স্ত্রী। পরে গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান ও কাউন্সিলর মিজানুর রহমান সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি বসে সুরহা করার আশ্বাস দিলে রাত ১০ টায় অনশন ভেঙ্গে বাড়ি যান।
মৌমিতা খাতুন পলির অভিযোগ,গাংনী পৌরসভায় সহকারী কর আদায়কারী পদে নিয়োগের জন্য পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামের সাথে ১৫ লাখ টাকায় চুক্তি হয়। জামি-জমা বন্ধক রেখে চুক্তি মোতাবেক গত ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারী ইসলামী ব্যাংক মেহেরপুর শাখায় মেয়র আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী জেলা পরিষদ সদস্য সাহানা ইসলাম শান্তনার ৬৪৫৪ নম্বর (হিসাবে) একাউন্টে ৫ লাখ ৭০ হাজার,২৫ জানুয়ারী ৫০ হাজার, ৫ ফেব্রুয়ারী ১ লাখ ৯০ হাজার জমা ও বাকী টাকা নগদ দেয়া হয়।
২০১৮ সালের ১৯ মে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও আমাকে নিয়োগ না দিয়ে অন্য একজনকে সহকারী কর আদায়কারী পদে নিয়োগ দেন। টাকা ফেরত চেয়ে বারবার তাগাদা দিলেও কোন কর্নপাত না করে পুনরায় স্থায়ী নিয়োগ দেয়া হবে মর্মে প্রাথমিক অবস্থায় মাষ্টাররোলে নিয়োগ দেয়। এভাবে দুই বছর চলতে থাকলেও স্থায়ী নিয়োগ কিংবা টাকা ফেরত না দিয়ে গড়িমশি করতে থাকে। টাকা চাইলে মারধর ও হুমকি দেয়। টাকা ও চাকরী না পাওয়ার কারনে স্বামীর সংসারে অশান্তি বিরাজ করছে। কোন প্রতিকার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত গাংনী শহীদ মিনারে আমরন অনশন শুরু করেছি। তিনি আরো বলেন, যাদের কাছে ধার দেনা করে মেয়রকে টাকা দিয়েছিলাম তারা প্রতিদিন টাকার জন্য বাড়িতে এসে টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। পাওয়ানাদারদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। টাকা নেওয়ার বিষয়ে মেয়র আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী জেলা পরিষদ সদস্য সাহানা ইসলাম শান্তনা বলেন,তার স্বামী তাকে বলেছে জমিজমা সংক্রান্ত টাকা এটি। এর বাইরে তিনি কিছুই জানেন না।
মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, মৌমিতা খাতুন পলির স্বামী জমি ক্রমের জন্য কিছু টাকা দিয়েছিলো। সেই জমি তারা চাষাবাদ করে। টাকা যেহেতু তার স্বামী দিয়েছে সেই টাকা তার স্বামী নিয়ে গেছে। প্রমান সাপেক্ষ টাকা পাওনা থাকলে অবশ্যই পরিশোধ করা হবে। এসময় তিনি ১৫ লাখ টাকা নেননি বলেও দাবি করেন।
গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান বলেন,বিষয়টি বসে সুরহা করার জন্য চেষ্টা চলছে। মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মনসুর আলম খান বলেন, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।