গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কয়েক হাজার স্থাপনা এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনসংখ্যার হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে যানবহন। প্রভাবশালীরা রাজনৈতিক শক্তির অপব্যবহার করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে রাস্তার দুই পাশে বিভিন্ন স্পটে গড়ে তুলেছে হোটেল রেস্তারা দোকান পাট সহ নানা ধরনের বিপণিবিতান। সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজের) কর্মকর্তাদের উদাসিনতার কারনেই বেদখল হয়ে যাচ্ছে সওজের সরকারি জমি। দখলবাজদের কাছ থেকে জমি উদ্ধারে কোন তৎপরতা নেই কর্তৃপক্ষের। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া,মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা,মেহেরপুর মুজিবনগর,মেহেরপুর কাথুলী ভায়া গাংনী-হেমায়েতপুর পর্যন্ত রাস্তার দুপাশ দখল করে গড়ে তুলেছে দোকানপাট। শুধু সড়কের দুধারই দখল করেনি দখল করেছে মুল রাস্তার ৩ফিট পর্যন্ত। একারনে চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসচালক বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও সওজ কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে মেহেরপুর কলেজ মোড় সহ জেলার বিভিন্ন সড়কের পাশের সরকারি জমি দখল করে গড়ে তুলেছেন দোকানপাট ও হোটেল রেস্তারা ।
স্থানীয়দের দাবি, মেহেরপুর কলেজ মোড় জেলার প্রবেশ পথ হলেও সওজের রাস্তা ও জমি দখল করে গড়ে উঠেছে হোটেল সহ বেশ কিছু দোকান। এছাড়া রাস্তা দখল করে অন্যান্য দোকানের পাশাপাশি ইটবালি খোয়া রেখে দখল করা হয়েছে। হোটেল ব্যবসায়ীর ক্ষমতার দাপটের কাছে অনেকটাই অসহায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজের) কর্মকর্তারা। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত্রী পর্যন্ত রাস্তা দখল করে দীরদর্পে চলে ব্যবসা বানিজ্য। মটরসাইকেল,অটোবাইকের লম্বা লাইনের কারনে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলেও হোটেল মালিকের ক্ষমতার দাপটে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাইনা।
সরেজমি ঘুরে দেখা গেছে,কলেজ মোড়ের জমি দখল করে অবৈধ দোকানপাট তৈরি হওয়ার কারনে নির্বিঘেœ যান চলাচল করতে পারেনা। এজন্য প্রায় প্রতিদিনই দূর্ঘটনা ঘটছেই। দূর্ঘটনায় অনেক পথচারী মটরসাইকেল চালক ও অটোবাইকে থাকা যাত্রীরাও রক্ষা পায়না। অবৈধ দখলে থাকা বেশির ভাগ দোকান অস্থায়ী ভিত্তিতে তোলা হলেও অনেকেই স্থায়ী পাকা দোকান তৈরি করলেও সড়ক জনপথ বিভাগের (সওজ) কর্মকর্তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করায় কয়েকশ’ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি সরকারের বেহাত হয়ে গেছে। দ্রত সময়ের মধ্যে কলেজ মোড় সহ জেলার সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে জেলা প্রশাসক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজের) কর্মকর্তাদের দৃষ্টি কামলা করেছেন ভুক্তভুগীরা।
কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান,অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন তারা। ভাড়া দেওয়ার পাশাপাশি দেয়া হয়েছে মোটা অংকের জামানত। হোটেল রেস্তার মালিক সহ অবৈধ কয়েকজন দখলদার ব্যবসায়ী জানান,সরকারী জমি পড়ে থাকে একারনে দোকান পাট তৈরি করা হয়েছে। এরআগে ভেঙ্গে দিলেও পুনরায় সকলেই দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছে। তবে কর্তৃপক্ষ না চাইলে তারা দোকান তুলে নেবেন।
কয়েকজন মাইক্রোবাস চালক জানান, রাস্তার কয়েকফিট সহ জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করার কারনে অনেক সময় মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাস্তার দুপাশ দখলমুক্ত থাকলে অনেকটাই দূর্ঘটনা কমে আসবে। মেহেরপুর সড়ক জনপথ বিভাগের (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: সুলতান মাহমুদ বলেন, ইতোপূর্বে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছিলো। গত বছরও উচ্ছেদ কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হলেও রাজনৈতিক কারনে সম্ভব হয়নি। তবে নতুন করে উদ্যোগ নেয়া হবে।