ফারুক আহমেদ :
তৃতীয় দফায় মেহেরপুরের গাংনীর ৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেছেন নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী কাজিপুর,ষোলটাকা,ধানখোলা ও রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। সম্প্রতি তফসিল ঘোষনা হওয়ার পর থেকে নির্বাচনী এলাকার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাটবাজারে চলছে নির্বাচনের নানা হিসেব নিকেশ। এদিকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন কে তা নিয়েও চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।
৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইউনিয়ন,উপজেলা ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি/সম্পাদকের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছে। এছাড়া আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনন ফরম উত্তোলন করে জমা দিয়েছে। কাজিপুর ইউনিয়নে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হক, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী আবু নাতেক,জেলা পরিষদ সদস্য প্রভাষক মুনছুর আলী,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রউফ স্বপন,সাধারন সম্পাদক মো: হাফিজুর রহমান,যুবলীগ নেতা আব্দুল আলিম প্রমুখ।
ষোলটাকা ইউপিতে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী মো: দেলবার হোসেন,গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য আইযুব আলী,ইউপি আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক একরামুল হক আহার, যুবলীগ নেতা আল ফারুক,যুবলীগ নেতা আনোয়ার পাশা,সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ময়নাল হোসেন।
ধানখোলা ইউনিয়নে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক,গাংনী উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবুল বাশার,ধানখোলা ক’ অঞ্চল আওয়ামীলীগের সভাপতি আলী আজগর ও গোলাম মোহাম্মদ।
রায়পুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্র ও যুবলীগ নেতা গোলাম সাকলায়েন সেপু ও রায়পুর ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মকলেচুর রহমান।
এছাড়া কাজিপুর ইউপিতে সাবেক চেয়ারম্যান মুহা: আলম হুসাইন,ষোলটাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি,ধানখোলায় বর্তমান চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান ও রায়পুরে সাবেক চেয়ারম্যান আলফাজ হোসেন কালু কিংবা বিএনপি নেতা আব্দাল হক প্রার্থী হতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে ৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সদস্য প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেছেন বলে জানিয়েছেন রিটানিং কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দীন (প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার) ও মাহফুজুর রহমান (জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা)।
নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।