গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনীর রাজা ক্লিনিকের মালিক পারভিয়াস হোসেন রাজার মুক্তির দাবি করেছে তার স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা। গতকাল রবিবার জেল হাজাতে যাওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুক্তির দাবিতে পোষ্ট দিয়েছেন তারা। তাদের দাবি পারভিয়াস হোসেন রাজা একজন সৎ মানুষ ভালো মানুষ। তার কাছ থেকে ধনি গরিব অসহায় সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষ চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। তার সেবার ও ব্যবহারের মাধ্যমে রোগী ও তার স্বজনদের মধ্যে গড়ে তুলেছে সেতুবন্ধন। তাই তার দ্রত মুক্তি দাবি করেছে অনেক রোগী ও তার স্বজনেরা।
স্বজনদের দাবি ২০ বছর পূর্বে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের গৃহবধু বাচেনা খাতুনের পিত্তথলির অপারেশন করা হয় গাংনীর রাজা ক্লিনিকে। বাচেনা খাতুনের অপারেশন করেন চিকিৎসক মিজানুর রহমান। তার সহকারী হিসেবে ছিলেন ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজা ও অ্যানেস্থেসিয়া করেন ডা. তাপস কুমার। উক্ত মামলায় রোববার দুপুরে আদালতে জামিন নিতে গেলে বিজ্ঞ আদালত ডা: মিজানুর রহমান ও ডা: তাপস কুমারকে জামিন প্রদান করলেও ডাক্তার পারভিয়াস হোসেন রাজার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
জানা গেছে,পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে ডাক্তার পারভিয়াস হোসেন রাজা দীর্ঘদিন যাবৎ ক্লিনিক পরিচালনার পাশাপাশি রোগীদের সেবা দিয়ে আসছে। জড়িত রয়েছে নানা সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে। তার সেবা ও আর্থিক সুবিধা নিয়ে অনেক সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। কন্যাদায় গ্রস্থ পিতা সহ দরিদ্র পরিবারের আর্শিবাদ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ডাক্তার পারভিয়াস হোসেন রাজা। কিন্তুু ২০ বছর পূর্বের একটি ঘটনায় তাকে জেলে যেতে হয়।
পেটে কাঁচি (ফরসেপ) রাখার ঘটনায় বাঁচেনা খাতুনের অপারেশন সহ পরবর্তী সকল ক্ষতি পূরন দিলেও তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছ। তবে রাজা ক্লিনিকের কর্মচারীদের আচরন ব্যবহারে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেও ডাক্তার পারভিয়াস হোসেন রাজা মানবেতর সেবক হওয়ায় তার মুক্তির জোর দাবি করেছে এলাকাবাসি।
উল্লেখ্য : পেটে কাঁচি রাখার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসান স্বপ্রনোদিত হয়ে একটি মামলা করেন ও মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) অপু সারোয়ারকে ঘটনা তদন্ত করার নির্দেশ দেন। এছাড়া জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উভয় তদন্ত কমিটি তিনজনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেন।