গাংনী নিউজ টােয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনীতে জনির উদ্দীন জগত (৫৭) নামের এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুর ১২ টায় উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের হেমায়েতপুর গ্রামের মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জনির উদ্দীন জগত ষোলটাকা ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের কমেদ আলীর ছেলে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন,জনির উদ্দীন নামের এক কৃষকের মরদেহ হেমায়েতপুর মাঠে পড়ে রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে পাঠানোর প্রস্তুুতি চলছে। তবে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিক অবস্থায় ধারনা করা হচ্ছে। তবে নিহতের পরিবার অভিযোগ দিলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জনির উদ্দীনের স্ত্রী হালিমা খাতুন জানান,আমতৈল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে গাফফার আলী ও তার বোন রেশমা খাতুনের কাছ থেকে প্রায় ২০ শতক জমি ক্রয় করা হয়। ক্রয়কৃত জমি বুঝিয়ে না দিয়ে গড়িমসি করতে থাকে। জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বললে গাফফার আলী হত্যার হুমকি দেয়। জমির বিরোধে প্রতিপক্ষরা তার স্বামীকে পিটিয়ে ও গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে।
জনির উদ্দীনের ছেলে লিটন জানান,তার বাবা ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। এরপর তার মরদেহ হেমায়েতপুর মাঠে পাওয়া যায়। চাচাতো ভাই অঅব্দুর রহমানের ছেলে গাফফারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিলো। জমিজমা বিরোধের কারনেই তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি তার বাবার হত্যার বিচার দাবি করেন।
জনির উদ্দীন জগতের প্রতিবেশিরা জানান,জমিজমা সংক্রান্ত ঝগড়া বিবাগ লেগেই থাকতো দুটি পরিবারের মধ্যে। গত কয়েক মাস আগেও এই জমি নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছিলো। এ বিষয়ে গাফফার আলীর বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নী।
স্থানীয়রা জানান,জনির উদ্দীন জগত এলাকায় কৃষি কাজের পাশপাশি (জমি মাপা) সার্ভেয়ারের কাজও করতো। তার মরদেহ হেমায়েতপুর গ্রামের একটি মাঠের ভুট্টোক্ষেতে পড়ে থাকা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।