গাংনীর ষোলটাকা ইউপি সদস্য হত্যা মামলা পিতাপুত্রের কারাদন্ড

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুরের গাংনীর ষোলটাকা ইউপি সদস্য কামাল হোসেন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পিতাপুত্রকে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। সাজা প্রাপ্ত আলমগীর হোসেন গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের আব্দুল মালেক ও তার ছেলে আলমগীর হোসেন।
মামলার বিবরন ও নিহতের পরিবার সূত্র জানিয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১৭ সালের ২৫ মে আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে তার লোকজন ষোলটাকা গ্রামের কফিল উদ্দিনের বাড়িতে প্রবেশ করে আব্দুল মালেকের হুকুমে রাফাতুল ইসলামকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনা শুনে তৎকালীন ইউপি সদস্য রাফাতুল ইসলামের ভাতিজা কামাল হোসেন জোড়পুকুরিয়া থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন।সকাল দশটার দিকে কামাল হোসেন আব্দুল মালেকের বাড়ির সামনে এসে পৌঁছালে আব্দুল মালেকের নির্দেশে কামাল হোসেনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় নিহত কামালের ভাতিজা ফারুক হোসেন বাদী হয়ে দঃবিঃ ৩০২/৩৪ ধারায় আলমগীর হোসেন, আব্দুল মালেক,সবতুল্যাহ বিশ্বাস, রাফাতুল্যাহ বিশ্বাস,আব্দুল গনি, মাজেদুল হক, মাজহারুল ইসলাম, রাজু বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম ও তমিরকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২৫৩/১৭।জি আর কেস নং ১৬৯/২০১৭।পরে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ প্রদান করেন। এতে আসামি আলমগীর হোসেন এবং আব্দুল মালেক দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত তাদেরকে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদন্ড। ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা। অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেয়া দেন।
মামলার অপর আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে বেকসুর খালাস দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজী শহীদ এবং আসামি পক্ষে এ কে এম শফিকুল আলম কৌশলী ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!