গাংনী প্রতিনিধি :
মেহেরপুরের গাংনীতে কৃত্রিম রঙ, ফ্লেভার ও কেমিক্যাল ব্যবহার করা ড্রিংস আইসক্রিম তৈরীর কারখানা সিলগালা করে দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় কারখানার ম্যানেজারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরের উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের একটি আইসক্রিম তৈরীর কারখানায় এই অভিযান পরিচালনা করেন মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ সজল আহম্মেদ।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ সজল আহম্মেদ জানান, মেসার্স আইকন ফুড এন্ড বেভারেজ নামক একটি আইসক্রিম, আইস ললি ও আইস ড্রিংকস তৈরিকারি প্রতিষ্ঠানে তদারকি করতে যেয়ে দেখা যায় যথাযথ লাইসেন্স ও অনুমোদন ব্যাতিত নিম্নমানের অন অনুমোদিত কৃত্রিম রঙ, ফ্লেভার, কেমিক্যাল ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে নানা প্রকার আইসক্রিম ও আইস ললি ড্রিংকস পানীয়। কেমিক্যাল ব্যবহার করলেও নেই কোন কেমিস্ট বা ল্যাব। উৎপাদিত এসব পণ্যের মানা হচ্ছেনা কোন মোড়কীকরণ বিধি।
অনুমোদিত ক্ষতিকর রঙ ও ফ্লেভার দিয়ে অস্বাস্থ্যকরভাবে তৈরি বাচ্চাদের প্রিয় এসব পণ্য ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। প্রচন্ড তাপদাহ ও গরমে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এসব পণ্য মেহেরপুরের হাড়াভাংগা গ্রামে তৈরি হলেও মোড়কজাত ও বাজারজাত করা হচ্ছে ঢাকা-বাংলাদেশ, মুন্সিগঞ্জ-বাংলাদেশ, সাতক্ষীরা-বাংলাদেশ, বি-বাড়িয়া বাংলাদেশ, টংগী, গাজিপুর সহ বিভিন্ন এলাকার নাম লেখা প্যাকেট সমূহে। এসমস্ত অপরাধের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মোঃ লিখন আলীকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭, ৪২ ও ৪৩ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানটির যথাযথ লাইসেন্স ও অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে কারখানাটি।
অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন গাংনী স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ মশিউর রহমান এবং কৃষি বিপণন অফিসের কর্মকর্তা মোঃ জিবরাইল হোসেন সহ মেহেরপুর জেলা পুলিশের একটি টিম। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
গাংনীতে আইসক্রিম তৈরীর কারখানা সিলগালা। ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
পূর্ববর্তী পোস্ট