অর্থনৈতিক ও পরোকীয়ায় খুন হন ফারুক হোসেন..মেহেরপুরের পুলিশ সুপার

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

পরোকীয়া প্রেমের জেরে মেহেরপুর শহর সমাজসেবার মাঠকর্মী ফারুক আহমেদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি। মঙ্গলবার বিকালে তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন হত্যাকান্ডের মুল হোতা থানাপাড়ার আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে বড় ফারুক ও তার সহযোগি কাসেদ আলী ছেলে দাউদ আলী আটক করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা দুজন মেহেরপুর আদালতে হাজির হয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি বলেন, হত্যাকান্ডের শিকার সমাজসেবার মাঠকর্মী ফারুক আহমেদের সাথে আসামি বড় ফারুক হোসেনের বন্ধুত্ব ছিল প্রবাসে থাকাকালিন সময়ে বড় ফারুক হোসেন সমাজসেবার মাঠকর্মী ফারুক আহমেদের মাধ্যমে স্ত্রীর কাছে টাকা পাঠাত। টাকা লেনদেনের এক পর্যায় থেকে ফারুক আহমেদ ও বড় ফারুক হোসেনের স্ত্রীর মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি হয়। দেড় বছর পর ফারুক হোসেন বিদেশ থেকে দেশে ফিরে স্ত্রীর আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন এবং তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নানা কারণে মতবিরোধ চলতে থাকে। প্রবাস থেকে স্ত্রীর পরোকীয়া প্রেমের বিষয়টি অবগত হওয়ার পর বাড়ি ফিরে বড় ফারুক বাড়িতে আসার পর তার স্ত্রী ও মাঠকর্মী ফারুক আহমেদকে বললে তারা উভয়ে এ বিষয়ে অস্বীকার করলেও পরে পরকিয়ার বিষয়টি পরিষ্কার হলে স্বামী-স্ত্রীর মত বিরোধের কারনে ফারুক হোসেনের স্ত্রী মেহেরপুর ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। এরপর পরোকিয়ার প্রেম ও প্রবাস থেকে টাকার হিসেব নিয়ে সমাজসেবার মাঠকর্মী ফারুক আহমেদ ও ফারুক হোসেন দুজনের মধ্যে বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। এরই জের ধরে পরিকল্পনা অনুযায়ী ফারুক আহমেদকে হত্যা করে। পরে হত্যাকারী বড় ফারুক সহ তার সহযোগিকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য :গত ২২ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের থানা সংলগ্ন তাঁতীপাড়ায় মেহেরপুর শহর সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাঠকর্মী ফারুক আহমেদকে (৩৯) কুপিয়ে হত্যা করে। পরদিন তার স্ত্রী নাজমা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!