গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমঃ
স্কুলজীবনের গণ্ডি পেরিয়ে উঠার আগেই যে মানুষটি সমাজের গরীব, অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করার জন্য কাজ শুরু করে এবং গড়ে তুলতে সক্ষম হয় অসহায় হতদরিদ্র মানুষের আস্থা ও সহয়তার সংগঠন সেই মানুষটি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার আব্দুল্লাহ আল নোমান।
একজন নোমানের গল্প অনেক বড়। আধার পেরিয়ে আলোর পথে যেতে নোমান কাজ শুরু করেছিল স্কুল জীবনে। গাংনী পাইলট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় মনোনিবেশ করেন মানবসেবায়।পকেট খরচের টাকা বাঁচিয়ে অসহায় মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করতো নোমান। পরবর্তীতে নোমানের মানবসেবা মূলক কর্মকান্ডে তার পাশে এসে দাঁড়ায় কয়েকজন সহপাঠী।
ছাত্রাবস্থায় নিজের এবং তার কাজে সহোযোগী বন্ধুদের পকেট খরচের টাকা জমিয়ে এগিয়ে আসেন গরীব ,অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করার জন্য। অসহায়, রোগীদের রক্তের চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে এলাকার বেশকিছু তরুনদের নিয়ে গড়ে তোলেন ‘ডু ফর মেহেরপুর’ নামক সামাজিক সংগঠন। ধীরে ধীরে এভাবেই নোমানের সাংগঠনিক পথচলা।
আবদুল্লাহেল কাফী এবং জুলিয়া খাতুন পেশায় দুজনেই শিক্ষক। তাদেরই সন্তান ভাবুক তরুণ আব্দুল্লাহ আল নোমান। নোমান জানায়, শুরু থেকেই বাবা-মা উৎসাহ জুগিয়েছিল ভালো কাজের জন্য। নোমান এখন আইন অনুষদের শিক্ষার্থী। অধ্যায়ন করছে বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজিতে।
নোমান ‘কিশোরের ডাক’ নামক একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন তার সহযোদ্ধাদের নিয়ে। নোমান ‘কিশোরের ডাক’ এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নোমান জানান, “আমি চাই সমাজে ইতিবাচক কাজ করতে। কিছু পাওয়ার জন্য নয়। নিজের ভালো লাগা থেকেই কাজ করি। করোনাকালীন সময়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে খাদ্য ঔষধ এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কাছে শিক্ষা উপকরণ, মানসম্মত খাবার, এবং পোশাক পৌঁছে দিয়েছি। আর্থিক ভাবে সহয়তা সহ অসংখ্য পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে ছাগল বিতরণ, দোকান স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে “কিশোরের ডাক” থেকে। সমাজকে বদলে দিতে এবং আগামীর বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসতে হবে আমাদের। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি যতটুকু সময় অবসর পেয়েছি সবটুকু সময়ই ব্যয় করি মানুষের সেবা করে। মানুষের জন্য কাজ করা নেশা হয়ে গেছে। বহু প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পথ চলি পিছপা হয়নি কখনও।