সেই প্রতিবন্ধী তরুণীকে নিয়ে বিপাকে আশ্রয়দাতা। সরকারি ভাবে পূর্ণবাসন দাবি

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমঃ

সেই বাক প্রতিবন্ধী তরণীর সন্তান প্রসবের পরে একটু স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল,সন্তানের প্রতি মায়া ছিল তার। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে বাক প্রতিবন্ধী যেন আরো অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে।এখন সন্তানের প্রতি আর সে মহব্বত নেই।বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় চলে যাচ্ছে আবার খুঁজে আনতে হচ্ছে তাকে।দিন দিন সে সন্তানের প্রতি যেন তার ঘৃণা জন্মাচ্ছে।সন্তানকে মেরে ফেলবে এই আশঙ্কা করছে আশ্রয়দাতা।আর এখন এই বাক প্রতিবন্ধী তরুণীকে নিয়ে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে আশ্রয়দাতা মোহাসিন আলী ও তার স্ত্রী জোসনা খাতুন।


স্থানীয়রা জানান, সন্ধান প্রসবের পর সন্তানের প্রতি মহব্বত জেগেছিল এবং কয়েকটি কথাও সে বলছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে তত খারাপের দিকে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে মাথার বেশি সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে।বাড়ি থেকে বিভিন্ন জায়গায় চলে যাচ্ছে তাকে ধরে আনতে হচ্ছে।সন্তানের হাত পা ধরে টানাটানি করছে।সরকারি যে সামাজিক প্রতিবন্ধী আবাসন কেন্দ্র আছে তাকে দ্রুত সেখানে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া দরকার।

বাড়ির মালিক আশ্রয়দাতা মোহাসিন আলী   বলেন, গত ১২ই অক্টোবর দেবীপুর বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছিল এই অন্তঃসত্তা পাগলী।তাকে আশ্রয় দেয়ার পর দিনই কন্যা সন্তান প্রসব করে।সন্তানের পরে সন্তানের প্রতি এক গভীর ভালোবাসা জন্ম নিয়েছিল। তার মুখ থেকে কয়েকটি শব্দ বলছিল কিন্তু যত দিন যাচ্ছে সে অস্বাভাবিক আচরণ করছে।সন্তানকে ঠিকমতো দেখছেনা। সন্তানের প্রতিও সেই ভালোবাসা নেই।বিভিন্ন জায়গায় চলে যাচ্ছে তাকে ধরে আনতে হচ্ছে তাকে নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি আমরা।

তিনি আরো বলেন,আমি অত্যন্ত গরিব মানুষ।প্রথম প্রথম প্রশাসনের লোকজন এসেছিল।এখন আর খোঁজ নেয় না। অনেকদিন ধরে বলছে নিয়ে যাব কিন্তু নিয়ে যাচ্ছে না।আমি বাইরে কাজেও যেতে পারছি না।তাই প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি যত দ্রুত সম্ভব তাকে এখান থেকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এবং কন্যা সন্তানটিকে নিরাপদ রাখার।হয়তো চিকিৎসা পেলে বাক প্রতিবন্ধী পাগলী ভালো হয়ে যাবে।আমার দিন আনা দিন খাওয়া আমি চিকিৎসা দেব কি দিয়ে।

মোহাসিন আলীর স্ত্রী জোসনা খাতুন বলেন, পাগলী সন্তান প্রসবের পর সন্তানের প্রতি মহব্বত থাকলেও এখন আর সেই মহব্বত নেই।সে মাঝে মাঝে সন্তানের হাত পা ধরে টানাটানি করে। ভয় হয় কখন মেরে ফেলবে বলে।আমরা সব সময় খেয়াল রাখছি এবং সর্বোচ্চ দিয়ে সন্তানকে নিরাপদ রেখেছি।শুনেছি সামাজিক প্রতিবন্ধী আবাসন কেন্দ্র আছে সেখানে নিয়ে যাবে কিন্তু এখনো নিয়ে যায়নি।তাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তার চিকিৎসা ও সন্তানকে নিরাপদ রাখার অনুরোধ করছি।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহা: আরশেদ আলী,নবাগত ইউএনও মহোদয়কে বিষয়টি জানিয়েছি।তিনি বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা বলেন,আমি বিষয়টি শুনেছি এবং খুব গুরুত্বের সাথে দেখছি আইনি প্রক্রিয়া চলছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাকে সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!