গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনীতে ছাত্রলীগ-বিএনপির ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপির ১১ নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। রবিবার দিবাগত মধ্যে রাতে গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ১০জন বিএনপির ও একজন আওয়ামীলীগের বলে দাবি করা হয়েছে। আসামীদের মধ্যে রয়েছে গাংনী পৌর যুবদলের সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর সাহিদুল ইসলাম,সাধারন সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর এনামুল হক,পৌর সেচ্ছাসেবকদলের সাধারন সম্পাদক জামাল উদ্দীন ও ধানখোলা ইউনিয়ন (ক) অঞ্চল আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সমসের আলী প্রমুখ।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত ১৩ আগষ্ট গাংনী বাজারে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগে সরকারী ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৭ তাং ২১.০৮.২২ ইং। মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলার বাদী সরকারী ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ বলেন, গত ১৩ আগষ্ট শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজ চত্তর থেকে একটি মিছিল বের হয়ে গাংনী বাজারে পৌছালে বিএনপি নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আর্তকিত হামলা করে। একারনে তিনি ১১ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন,ঘটনার দিন বিএনপির ৪/৫জন নেতাকর্মী অফিসে বসে গল্প করছিলেন। এসময় হঠাৎ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বিএনপির অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। হামলার দৃশ্য গণমাধ্যমের পাশপাশি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমেও রয়েছে। সেই ভিডিও দেখলে জানা যাবে করা আগে বিএনপি অফিসে হামলা করেছে। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতেই বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা করা হয়েছে। অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি করেন। এবিষয়ে বক্তব্য জানতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে (সোমবার বিকাল ৪টার সময়) কয়েকবার কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল বলেন, সমসের আলী আওয়ামীলীগের কেউ না। ধানখোলা ইউনিয়ন (ক) অঞ্চল আওয়ামীলীগের সভাপতি আলী আজগর বলেন, শমসের আলী আওয়ামী লীগের কমিটিতে নেই তবে তাকে আওয়ামী লীগের নেওয়ার জন্য কথাবার্তা হয়েছিল। এদিকে সমসের আলী কমিটিতে নেই এমন দাবি করলেও তাকে ধানখোলা ক অঞ্চল আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রয়েছেন বলে প্রত্যায়ন দিয়েছেন আলী আজগর। অপরদিকে শমসের আলী ধানখোলা (ক) অঞ্চল আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলে দাবী করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক।