গাংনীতে স্বর্ণালী সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতির পরিচালকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজটােয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুরের গাংনীতে স্বর্ণালী সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের পরিচালক মাহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। লগ্নিকৃত টাকা ফেরত পেতে ভুক্তভুগীরা প্রশাসন সহ সমাজপতিতের দারে দারে ঘুরছে। মাহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক টাকা ফেরতের দাবি ভুক্তভুগীদের।
গাংনী উপজেলার পুরাতন মটমুড়া গ্রামের মাহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালে কাথুলী ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া বাজারে স্বর্ণালী সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের একটি সংস্থা চালু করে। ১ লাখ টাকায় প্রতি মাসে ১৬শত টাকা লাভ দেওয়ার প্রতিশ্রতিতে এ এলাকার অন্তত ২ শতাধিক নারী পুরুষের কাছ থেকে অন্তত ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে। মাহিরুলের শশুর কাথুলী গ্রামের সুরাফ আলীর বাড়িতে থেকে তিনি রিনদান ও লাভ দেওয়ার নামে প্রতারনা শুরু করে।
বুধবার দুপুরে গ্রাহকরা তাদের লগ্নিকৃত টাকা ফেরত আনতে গেলে অফিসে তালাবদ্ধ দেখতে পায় গ্রাহকরা। গ্রাহকরা অফিসের পাশে অবস্থান নিচ্ছে এমন পরিস্থিতি বুঝতে পেরে মাহিরুল সহ তার কর্মীরা আগেই পালিয়ে যায়। এদিকে লগ্নিকৃত টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন করে ভুক্তভুগী গ্রাহকরা। তাদের দাবি লগ্নিকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি তার প্রতারনার দায়ের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি জানান।
ভুক্তভুগী গাড়াবাড়িয়া গ্রামের ফড়ি শেখের স্ত্রী সামচ্ছুন্নাহার বলেন,তিনি ৪ লাখ টাকা রেখেছিলেন। সংসারের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য। কিন্তু লগ্নিকৃত টাকা নিয়ে সংস্থার পরিচালক মাহিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
একই গ্রামের আনারুল ইসলাম বলেন,প্রতি লাখে মাসে ১৬ টাকা দেওয়ার শর্তে ৩লাখ লগ্নি করেিেছলেন। লাভতো দুরের কথা মুল টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না তিনি।
গাড়াবাড়িয়া গ্রামের অন্ধ বায়েজিদ হোসেন বলেন,তিনি ৪ লাখ টাকা রেখেছিলেন। কিন্তু সে টাকা তুলতে গিয়ে জানতে পারনে সংস্থার পরিচালক মাহিরুল অফিসে তালা মেরে পালিয়ে গেছেন।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য স্বর্ণালী সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের পরিচালক মাহিরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
স্বর্ণালী সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের মাঠকর্মী সাহারুল ইসলাম বলেন,তিনি মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সংস্থার পরিচালক মাহিরুল ইসলাম সব লেনদেন করতেন। এখন মাহিরুলকে তারা খুঁজে পাচ্ছেন না।
সিংক : গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি খানম বলেন,ভুক্তভুগীরা টাকা আত্মসাতের বিষয়ে লিখিত কিংবা মৌখিক কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!