গাংনী নিউজ ডটকম:
চলতি মৌসুমে গমের আবাদ নিয়ে চিন্তা ছিল না চাষিদের কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে গম নিয়ে চাষীদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাজ।একদিনের বৃষ্টি ও হালকা বাতাসে গম পড়ে গেছে।আর এতে ফলন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে গম চাষিরা।মেঘ দেখে অনেকে গম কাটতে শুরু করেছে।তবে আরও দশ দিন মাঠে গম থাকলে পরিপূর্ণভাবে পেকে যেত।যে সকল গম পড়ে গেছে সেই গমের কিছুটা রং পরিবর্তন হয়ে যাবে আর এতে দাম কমে যাবে বলে জানান মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গম চাষিরা।
তারা আরও বলেন, আকাশে এখনো মেঘের ঘনঘটা দেখা যাচ্ছে।এভাবে কয়েকদিন থাকলে গম নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে।আর এতে চাষীদের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়ে যাবে।
করমদী মাঠের গম চাষি স্বপন আলী বলেন,মাঠে গম কাটতে শুরু করেছে।তাছাড়া নামলা গম অনেক কাঁচা রয়েছে।বৃষ্টি ও হালকা বাতাসে গম পড়ে গেছে।এতে গমের ফলনে ক্ষতি হয়ে যাবে।গমের দানা একটু শুকিয়ে যাবে এবং গম কালো হয়ে যাবে।আর এতে যে ফলন হওয়ার কথা ছিল সে ফলনও কম হবে।বিঘা প্রতি কম করে হলেও ৩ মণ হারে ফলন কমে যাবে।আর দামও কমে যাবে।
বামন্দী মাঠের গম চাষি মনিরুল ইসলাম বলেন,আর ৮ থেকে ১০ দিন সময় পেলে গম প্রায় সব কাটা হয়ে যেত।আর কিছু নামলা গম থাকতো।এতদিন আমরা স্বস্তিতে ছিলাম।কিন্তু এসময় বৃষ্টি ও হালকা বাতাসে গম পড়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়ে গেলাম।
কল্যাণপুর গ্রামের গম চাষি জুয়েল আহমেদ বলেন,এবছর মাঠে ব্যাপক গম হয়েছে।তাই ভালো ফলন হবে আশা করছিলাম।এর মধ্যে আবার বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় গম পড়ে ক্ষতি হয়ে গেল।
তেরাইল মাঠের গম চাষি জামাল উদ্দিন বলেন,আমার তিন বিঘা গম কাটা হয়ে গেছে।বিঘাপ্রতি ১৬ মণ হয়েছে।আলহামদুলিল্লাহ ভালো ফলন হয়েছে।যারা গম কাটতে পারেনি তাদের কিছুটা ক্ষতি হয়ে গেল।
আরেক গম চাষি মজনুল হক বলেন, গম নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছে চাষিরা।অনেকের গম পড়ে গেছে।সেই গম কাটতে গিয়ে এখন বাড়তি খরচ গুনতে হবে।
দেবীপুর গ্রামের গম ব্যবসায়ী রোকনুজ্জামান বলেন,বর্তমানে গম ১৪০০ টাকা মন চলছে।তবে বৃষ্টির পানি লাগা গমের দাম কিছুটা কমে যাবে।
কৃষি অফিস সুত্র জানায়,চলতি বছর উপজেলায় ৭ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে।মাঠে গম ২৫% কাটা হয়েছে।গতকাল রাতের বৃষ্টি ও হালকা বাতাসে অনেক চাষির গম পড়ে গেছে।আমরা চাষীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান,যেহেতু গমের দানা শক্ত হয়ে গেছে তাই গম পড়ে গেলেও কোন ক্ষতি হবে না।